Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ভোটের আগেই তৃণমূল জয়ী সাইবার-ভোটে

বিজেপি এবং কংগ্রেসের বাইরে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এ বার লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে নামছে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৪
Share: Save:

বিজেপি এবং কংগ্রেসের বাইরে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এ বার লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে নামছে তৃণমূল। তবে ভোট-ম্যাচের বাঁশি বাজার আগেই সাইবার দুনিয়ায় সেই লক্ষ্যপূরণ হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের! সোস্যাল মিডিয়ায় অনুগামীর সংখ্যার বিচারে বিজেপি এবং কংগ্রেসের পরে এখন তৃণমূলই। জয়ললিতার এডিএমকে, করুণানিধির ডিএমকে, মুলায়ম সিংহ যাদবের সমাজবাদী পার্টি বা মায়াবতীর বিএসপি, অঞ্চলভেদে এদের প্রভাব যথেষ্ট হলেও নেট-দুনিয়ায় মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল এদের সকলের চেয়েই এগিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ছবিটা আলাদা নয়। তৃণমূলের তুলনায় যথেষ্ট পিছিয়ে বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেসবুকে এই মুহূর্তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ‘লাইক’ সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৫ হাজার। আড়াই বছরে ফেসবুক পেজে এত পছন্দের অভিব্যক্তি রেকর্ড বলেই তৃণমূল সূত্রের দাবি। তৃণমূল ‘যুবা’র সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজে ‘লাইকে’র সংখ্যা ১ লক্ষ ৫ হাজার। ঘটনাচক্রে, যিনি আবার তৃণমূল নেত্রীরই ভাইপো। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১২ হাজার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার ৯ হাজার। বিরোধী শিবির থেকে উল্লেখ করার মতো জায়গায় আছেন শুধু রাজ্যসভার সদ্যনির্বাচিত সাংসদ এবং সিপিএমের ছাত্র-নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ফেসবুক অনুগামীর সংখ্যা (‘লাইক’ নয়) ১১ হাজার। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী (৬ হাজার লাইক), প্রদীপ ভট্টাচার্য (১ হাজার লাইক) বা সদ্য ফেসবুকে আর্বিভূত সোমেন মিত্র (১ হাজার লাইক) অনেক পিছিয়ে।

টুইটারেও তৃণমূলের রমরমা। সেখানে তৃণমূলের রাজ্যসভার সচেতক ও জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের ‘ফলোয়ার’ সংখ্যা ২ লক্ষ ২২ হাজার। তৃণমূলেরই কে ডি সিংহ এবং দীনেশ ত্রিবেদীকে দু’হাজার করে মানুষ ‘ফলো’ করছেন। অভিষেকের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা এক হাজার। বিজেপি-র তথাগত রায় এঁদের উপরে আছেন। তাঁর ‘ফলোয়ার’ চার হাজার। তৃণমূলেরই সৃঞ্জয় বসু, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের ঋতব্রত, কংগ্রেসের সোমেন বা প্রদীপবাবুরও টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে। তবে অনুগামীর সংখ্যা সীমিত। আর দল হিসাবে সার্বিক হিসাবে ট্যুইটারে বিজেপি-র ৩ লক্ষ ৭০ হাজার এবং কংগ্রেসের ১ লক্ষ ৩২ হাজার ফলোয়ার। তৃণমূল এবং সিপিএমের ট্যুইট-অনুগামীর সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচ হাজার ও এক হাজার। সিপিএমের সরকারি ‘ট্যুইট হ্যান্ডল’ অবশ্য সবে বৃহস্পতিবারই খোলা হয়েছে।

ডেরেকের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের জনপ্রিয়তা একের পর এক ভোটেই প্রমাণিত। এ বার তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল ওয়েব-জগতেও একের পর এক সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে!” মমতা-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সকলেরই ফেসবুক পেজ রয়েছে। আর পাঁচ জন সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারীর মতো প্রোফাইল রাখলে সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি ‘ফ্রেন্ড্স রিক্যোয়েস্ট’ নেওয়া যায় না। তাই পেজ খুলতেই স্বচ্ছন্দ অনেকে।

ইদানীং কালে রবীন দেব, অমিয় পাত্র, মানব মুখোপাধ্যায়, মানবেশ চৌধুরীর মতো কিছু সিপিএম নেতাই ফেসবুকে সক্রিয়। তাঁদের মধ্যে সংখ্যার বিচারে কিছুটা এগিয়ে ঋতব্রত। ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টের পাল্টা পোস্ট ইদানীং তিনিই করে থাকেন। মোট তিনটে প্রোফাইল মেলালে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৩৬ হাজার। যদিও সব মিলিয়ে তা তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তুলনীয় নয় কোনও ভাবেই। ঋতব্রতেরাও তুলনায় যেতে নারাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

cyber vote lok sabha election 2014
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE