সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প রূপায়ণের যে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে ডিভিসি-তে, বুধবার সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনাই হল না। সাধারণত পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলি কিছুদিন আগেই সব সদস্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ডিভিসি-র এক কর্তা এ দিন জানিয়েছেন, পরিচালন পর্ষদের এ বারের বৈঠকের অন্য বিষয়গুলি সদস্যদের আগাম জানানো হলেও যৌথ উদ্যোগের কথা জানানো হয়নি। বৈঠকে এসেই তাঁরা বিষয়টি জানতে পারেন। তার জেরে, সভার আলোচ্যসূচিতে প্রথমেই রঘুনাথপুরের প্রসঙ্গ থাকলেও যৌথ উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়নি।
আর্থিক সঙ্কট, কোল ব্লকের সমস্যা, রেল করিডরের জন্য জমি না পাওয়ার মতো সমস্যায় রঘুনাথপুরের নির্মীয়মাণ তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র নিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত ডিভিসি বেশ কিছুদিন ধরেই ওই প্রকল্প সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রূপায়িত করার ভাবনাচিন্তা করছে। তবে, যৌথ উদ্যোগে (বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে) যাওয়ার ব্যাপারে ডিভিসি-র কর্তাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ডিভিসি সূত্রেই জানা যাচ্ছে, সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রঘুনাথপুর প্রকল্প গড়ার ভাবনাটি বেশ জটিল এবং বিতর্কিত। তাই সবদিক ভেবেচিন্তেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে সদস্যদের। ডিভিসি-র শীর্ষ কর্তাদের কেউ অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের বিদ্যুত্সচিব গোপালকৃষ্ণ রঘুনাথপুরের প্রকল্প রূপায়ণের যৌথ উদ্যোগের আলোচনার বিষয়টি স্থগিত রাখার জন্য বলেছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি।” ওই তাপবিদ্যুত্ প্রকল্প যাতে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে না হয়, সেই দাবিতে সিপিএম এ দিন বিকেলে পুরুলিয়া শহরে কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করে।