সংস্থা পরিচালনায় বেআইনি কাজকর্মের জেরেই দেশের কর্পোরেট জগতের একাংশ এখন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রী অরুণ জেটলির তাই সাফ কথা, কোনও সংস্থা বেআইনি কাযর্কলাপের জন্য কলঙ্কিত বলে চিহ্নিত হলে আইন তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক। তাঁর মতে, আখেরে আস্তাকুঁড়েই ঠাই হবে দুর্নীতিগ্রস্ত ভুঁইফোঁড় সংস্থাগুলির।
সংস্থা পরিচালনায় দক্ষতার জন্য কর্পোরেট দুনিয়াকে পুরস্কৃত করে থাকে ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব কোম্পানি সেক্রেটারিজ অব ইন্ডিয়া’। রবিবার কলকাতায় সেই অনুষ্ঠানে কৃতী সংস্থাগুলিকে পুরস্কার দিতে এসেছিলেন জেটলি। সেখানেই সংস্থা পরিচালনার মানের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। তবে দক্ষ পরিচালনার বিষয়টিকে তিনি শুধুই সংস্থার সাফল্যের নিরিখে দেখছেন না। তাঁর মতে, প্রতিযোগিতার বাজারে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য পেতে দক্ষ পরিচালনা যেমন জরুরি, তেমনই সংস্থা পরিচালনায় স্বচ্ছতাও সমান জরুরি। কারণ, সংস্থায় যাঁরা টাকা ঢেলেছেন, সেই লগ্নিকারীরাও সংস্থার প্রতিটি খুঁটিনাটি জানার অধিকারী।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সত্যম থেকে শুরু করে ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা গোষ্ঠী সংস্থা পরিচালনায় অনিয়মের জেরেই এরা এখন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। জেটলি অবশ্য এ দিন বেআইনি কার্যকলাপে অভিযুক্ত কোনও সংস্থার নাম করেননি। তবু সামগ্রিক ভাবে সংস্থা পরিচালনায় গুণগত মানের প্রসঙ্গেই তনি কলঙ্কিত সংস্থার বিষয়টি তোলেন। তাঁর কথায়, “যদি কোনও কলঙ্কিত সংস্থা (ব্ল্যাক শিপ) থাকে এবং তাদের চিহ্নিত করা হয়, আইন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক।” সংস্থাগুলির বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে কোম্পানি আইন রয়েছে কেন্দ্রের। তার ফাঁকফোকড় বন্ধ করতে ওই আইনে কিছু সংশোধনীও আনতে চলেছে সরকার।
কেন্দ্রের এই তৎপরতার পাশাপাশি কর্পোরেট দুনিয়ার প্রতি জেটলির পরামর্শ, দেশের আর্থিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ফলে কর্পোরেট দুনিয়ার সামনে নতুন সুযোগ আসছে। তার সদ্ব্যবহারের দিকে জোর দিক তারা, সংস্থা পরিচালনায় সেরা হয়ে উঠুক। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কী মাপকাঠি রয়েছে, তা-ও শিখতে হবে দেশের কর্পোরেট দুনিয়াকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy