—প্রতীকী ছবি
বন্দুকবাজদের গুলিতে আজ সকালে কাবুলে সুপ্রিম কোর্টের দু’জন মহিলা বিচারপতি প্রাণ হারিয়েছেন। গত কয়েক মাসে আফগানিস্তানে রাজনীতিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, চিকিৎসক-সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। সেই তালিকায় জুড়ল সুপ্রিম কোর্টের এই দুই মহিলা বিচারপতির নামও।
ওই দুই বিচারপতি আজ সকালে যখন আদালতের গাড়িতে করে নিজেদের অফিসে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র আহমেদ ফাহিম কায়িম বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী হামলায় সুপ্রিম কোর্টের দু’জন মহিলা বিচারপতিকে হারিয়েছি। বিচারপতিদের গাড়ির চালক আহত হয়েছেন।’’ আজকের হামলার ঘটনা স্বীকার করলেও এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কোন জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে, তা জানায়নি প্রশাসন। দিন দুয়েক আগেই আফগানিস্তান থেকে সেনা কমানোর কথা ঘোষণা করেছে পেন্টাগন।
২০১৭ সালে আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে আত্মঘাতী হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন, আহত হন ৪১ জন। আফগানিস্তান প্রশাসন সূত্রের খবর, দেশে গত কয়েক মাসে চিকিৎসক, রাজনীতিক, সাংবাদিক, সমাজকর্মীর মতো বহু প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন। প্রশাসনের অভিযোগ, ওই হামলাগুলির পিছনে রয়েছে তালিবান। কিছুক্ষেত্রে সরাসরি তারাই হত্যা করছে, আবার কিছুক্ষেত্রে তারা গোটা ঘটনাটি পরিকল্পনা করেছে। তালিবান অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। যদিও কয়েকটি হত্যাকাণ্ড এবং হামলার দায় নেয় আইএস।
দোহায় তালিবানের সঙ্গে আফগানিস্তান সরকারের শান্তি আলোচনা চলাকালীনই লাগাতার হত্যার ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসের গোড়ায় আমেরিকা জানিয়েছিল, ওই হত্যাকাণ্ডগুলির পিছনে তালিবান রয়েছে। আফগানিস্তানে মোতায়েন আমেরিকার সেনা মুখপাত্র কর্নেল সোনি লেগেট টুইট করেছিলেন, ‘‘রাজনীতিক, সরকারের পদস্থ আধিকারিক, সাংবাদিকদের মতো সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের হত্যা শুরু করেছে তালিবান।… তাদের উদ্দেশ্য শান্তি-আলোচনা পণ্ড করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy