Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Israel-Hamas Conflict

গাজ়ায় বৃহত্তম প্রত্যাঘাত হামাসের! বহুতলে ‘পাতা ফাঁদে পা ফেলে’ হত ২৪ জন ইজ়রায়েলি সেনা

নভেম্বরের গোড়ায় গাজ়া ভূখণ্ডে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ডেরায় ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরুর পরে এই প্রথম এত বড় ক্ষতির মুখে পড়ল ইজ়রায়েলি ফৌজ।

গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার অভিযান।

গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার অভিযান। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৭
Share: Save:

গাজ়ায় দখলদার ইজ়রায়েলি ফৌজের বিরুদ্ধে বড় আঘাত হানাল প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার তাদের হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন ইজ়রায়েলি সেনা। নভেম্বরের গোড়ায় গাজ়া ভূখণ্ডে ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’ শুরুর পরে এই প্রথম এত বড় ক্ষতির মুখে পড়ল তারা।

ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মঙ্গলবার ২৪ সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। সে দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি বলেন, ‘‘মধ্য গাজার দু’টি বহুতল বাড়ি উড়িয়ে দিতে আমাদের সেনারা বিস্ফোরক প্রস্তুত করছিলেন। সে সময় আমাদের বাহিনীর একটি ট্যাঙ্কের উপর রকেট–চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) হামলা চালানো হয়। এক সঙ্গে গ্রেনেড আর বিস্ফোরক ফেটে গিয়ে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এর ফলে বাড়ির ভিতরে থাকা সেনা-সদস্যেরাও ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন।’’

হামাসের আল কাসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারাই ইজ়রায়েল সেনার বিরুদ্ধে প্রতিআক্রমণ চালিয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাসের এই এলিট ব্রিগেডই। তারা দু’শোরও বেশি ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল। বন্দি করা হয়েছিল ইজ়রায়েলে থাকা বিদেশিদেরও। কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অনেককে মুক্তি দিলেও এখনও বন্দি শতাধিক। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছিলেন, পণবন্দিদের উদ্ধার এবং গাজ়া থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত স্থলপথে অভিযান চলবে। কিন্তু সব পণবন্দিকে উদ্ধারে এখনও সাফল্য না মেলায় চাপ বাড়ছে নেতানিয়াহু সরকারের উপর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE