ডালাসের সেই গ্যারাজ ঘিরে পুলিশি তৎপরতা। বৃহস্পতিবার রাতে। ছবি: এপি।
তিন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ডালাসের পুলিশকে। দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার পর আত্মহত্যা করল চতুর্থ হামলাকারী। হামলার তীব্র নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ‘‘এটি একটি জঘন্য, ঘৃণ্য এবং পরিকল্পিত আক্রমণ।’’ আত্মহত্যার আগে চতুর্থ হামলাকারী গোটা শহরে বোমা রাখা রয়েছে বলে দাবি করায়, তন্ন তন্ন করে চলছে তল্লাশি। শুধু লুকোনো বোমার আশঙ্কাতেই নয়, এই চারজনের বাইরে আরও কোনও বন্দুকবাজ ছিল কি না, তাও খোঁজ করছে পুলিশ।
পর পর দুই কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের হত্যার প্রতিবাদে ডালাসে মিছিল চলছিল বৃহস্পতিবার রাতে। আচমকাই পুলিশের উপর গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। প্রথম মনে করা হয়েছিল, মিছিল থেকেই গুলি চালানো হয়েছে। কিন্তু পরে বোঝা যায়, মিছিল থেকে নয়, কোনও উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়েছে পুলিশকে লক্ষ্য করে। ডালাসের পুলিশ প্রধান ডেভিড ও ব্রাউন জানিয়েছিলেন, তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু চতুর্থ জনকে ধরা যায়নি। ডালাসের যে এলাকায় পুলিশের উপর হামলা হয়েছে, সেখানকারই একটি গ্যারাজে লুকিয়ে সে পুলিশের সঙ্গে দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছিল। দিয়ে যাচ্ছিল হুঁশিযারি। পুলিশকে ওই হামলাকারী বলেছিল, গ্যারাজে এবং আশপাশে প্রচুর বোমা রাখা রয়েছে। খুব শীঘ্রই বিস্ফোরণ ঘটবে। কারও বাঁচার আশা নেই। শুধু ওই গ্যারাজে নয়, ডালাস শহরের বিভিন্ন এলাকায় তারা বোমা প্ল্যান্ট করেছে বলেও দাবি করেছিল এই চতুর্থ হামলাকারী। আড়াল থেকে সে পুলিশ কর্মীদের হুমকি দিয়ে চলেছে। পুলিশকে সে বলেছে, ‘‘শেষ এগিয়ে আসছে। গোটা শহরে বিস্ফোরণ ঘটবে।’’
আরও পড়ুন: কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ মিছিলের সময় গুলি, ডালাসে হত ৫ পুলিশকর্মী
হামলাকারীর দাবি কি সত্যি? না কি গ্যারাজ থেকে পালানোর পথ করে নিতেই সে এই ধরনের হুমকি দিচ্ছে, সংশয়ে ছিল পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় সন্দেহই সত্যি প্রমাণ হয়। ইতিমধ্যেই থেকে থেকে দু’তরফের গুলি বিনিময় চলছিল। পালানোর আশা নেই বুঝে শেষ পর্যন্ত নিজের আগ্নেয়াস্ত্রেই আত্মহত্যা করে লুকিয়ে থাকা আততায়ী।