Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
US Court

৩১ বছর নষ্ট, ক্ষতিপূরণ ৭.৫ কোটি ডলার!

জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এই অবিচারের বিরুদ্ধে হেনরিরা মামলা করেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
নর্থ ক্যারোলাইনা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২১ ০৪:৫৫
Share: Save:

কেবলমাত্র বিচারের ভুলে জীবনের মূল্যবান ৩১টা বছর ওঁরা খুইয়েছেন। ১৯৮৩ সালে একটি ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড হয় আমেরিকার দুই কৃষ্ণাঙ্গ ভাইয়ের। ২০১৪ সালে নির্দোষ প্রমাণিত হলে মুক্তি হয় ওঁদের। তবে এই অবিচারের বিরুদ্ধে ওঁরা হাল ছাড়েননি। দীর্ঘ মামলার শেষে জয় হয়েছে দু’জনের। আদালত ওঁদেরকে মোট ৭.৫০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

ঘটনাটি প্রায় প্রায় চার দশক আগের। আমেরিকার নর্থ ক্যারোলাইনার রবসন কাউন্টির রেড স্প্রিং এলাকায় ১১ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয় দুই কৃষ্ণাঙ্গ ভাই। হেনরি ম্যাক্কলাম আর লিয়ন ব্রাউন। দু’জনেই তখন কিশোর। হেনরি ১৯ আর লিয়ন ১৫। বিচার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ওদের।

জন্ম থেকে দুই ভাই খানিক জড়বুদ্ধির। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ওদের মানসিক বৃদ্ধি তেমন হয়নি। জেলে ওদের দীর্ঘ মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। পরে লিয়নের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। কিন্তু ওঁদের পরিবার হাল ছাড়েনি। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, সহজ-সরল দুই ভাই এ কাজ করতে পারে না। বিচার চলতে থাকে। অবশেষে ২০১৪ সালে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় নির্দোষ প্রমাণিত হয় দু’জনেই। প্রমাণিত হয়, এক রকম জোর করেই তাদের দিয়ে স্বীকারোক্তি বলিয়ে নিয়েছিল পুলিশ। তত দিনে জেলেই ৩১টা বছর কেটে গিয়েছে ওঁদের।

জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এই অবিচারের বিরুদ্ধে হেনরিরা মামলা করেন। নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা সেই মামলায় অবশেষে জয় মিলেছে লিয়ন আর হেনরির। শুক্রবার নর্থ ক্যারোলাইনার এক আদালত দুই ভাইকে মোট ৭.৫০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। রায় ঘোষণার পরে হেনরি বলেছেন, ‘‘অবশেষে আমি স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু এখনও অনেক নির্দোষ মানুষ জেলে আটকে। ওঁদের ওখান থাকবার কথা নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

US Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE