ফাইল চিত্র।
ট্রাক থেকে ৩৯টি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার এক মহিলা-সহ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওয়ারিংটনের বাসিন্দা, বছর আটত্রিশের দু’জনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছে। এক জনকে ধরা হয়েছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড থেকে। বুধবার উত্তর-পূর্ব লন্ডনের এসেক্সে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়।
মৃতদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও আট জন মহিলা। তাঁরা সকলেই চিনা নাগরিক বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হলেও সকলের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। আটক ট্রাকটি বুলগেরিয়া থেকে এসেছিল। এর সঙ্গে মানুষ পাচার চক্রের যোগ রয়েছে বলেই ধারণা তদন্তকারীদের। ২০১৭-এ বুলগেরিয়ায় ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন করা থাকলেও সেটি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেই ব্যবহার হত। ২৩ অক্টোবর রাত ১টার কিছু পরে ব্রিটেনের পারফ্লিট বন্দর থেকে ট্রাকটি বেরোয়। রাত ১টা ৪০ নাগাদ ওয়াটারগ্লেড এলাকা থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হওয়ার খবর পৌঁছয় পুলিশে। গ্রেফতার হয় চালক মো রবিনসন। সে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে জেরার পরে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারীরা। সেগুলির একটিতে রবিনসনের বাবা-মা থাকতেন।
একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে তিন জন ভিয়েতনামের নাগরিক হতে পারেন। সে রকমই এক জনের পরিবারের এক সদস্য জানান, মঙ্গলবার রাতে তাঁদের কাছে এক মহিলার মেসেজ আসে যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।’ তার পর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফাম ট্রা নামে ওই মহিলাকে ব্রিটেনে পাঠানোর জন্য পাচারকারীদের হাতে তাঁরা ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে জানান ওই মহিলার এক আত্মীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy