Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International News

টেক্সাসের ঘূর্ণিঝড় থেকে উদ্ধার পেয়েও প্রাণে বাঁচলেন না ভারতীয় তরুণী

টেক্সাসের হার্ভে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই ব্রায়ানের উত্তর-পশ্চিম লেক ব্রায়ান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দুই ভারতীয় পড়ুয়াকে। তার মধ্যে আগেই মৃত্যু হয়েছিল ২৮ বছরের নিখিল ভাটিয়ার। তবে হাসপাতালের আইসিইউ-তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন অন্য এক পড়ুয়া, শালিনী সিংহ।

শালিনী সিংহ

শালিনী সিংহ

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:২৭
Share: Save:

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থেকে অনেক কষ্টে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেরেই গেলেন জীবনযুদ্ধে।

টেক্সাসের হার্ভে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই ব্রায়ানের উত্তর-পশ্চিম লেক ব্রায়ান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দুই ভারতীয় পড়ুয়াকে। তার মধ্যে আগেই মৃত্যু হয়েছিল ২৮ বছরের নিখিল ভাটিয়ার। তবে হাসপাতালের আইসিইউ-তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন অন্য এক পড়ুয়া, শালিনী সিংহ। সোমবার হিউস্টনের সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে মৃত্যু হয় শালিনীরও।

আরও পড়ুন: ঝড় কমলেও টেক্সাসে জারি বন্যা সতর্কতা

নিখিল এবং শালিনী, দু’জনেই টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। গত শনিবার শালিনীর সঙ্গে ব্রায়ান লেকে সাঁতার কাটতে যান নিখিল। কিন্তু ওই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সতর্কবার্তা জারি হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁরা জলে নেমেছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয় ব্রায়ান পুলিশের কাছে। শালিনী ও নিখিলের বন্ধুবান্ধবদের দাবি, ওঁরা ব্রায়ান লেকে যখন সাঁতার কাটছিলেন, সেই সময় হঠাৎ চলে আসা স্রোত ধাক্কা মেরে ওঁদের ঠেলে দেয় গভীর জলে। তার পরেই ডুবে যাচ্ছিলেন ওঁরা। শালিনী-নিখিলদের সঙ্গে বন্ধুরা থাকলেও লেকে নামেননি। পুলিশকে তাঁরাই পরে সব জানান। কিন্তু বন্ধুরা কেন এই তরুণ-তরুণীকে লেকে নামতে বাধা দিলেন না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। আদতে রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা নিখিল। এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছিলেন। বছর পঁচিশের তরুণী শালিনী নয়াদিল্লির বাসিন্দা। তিনি জনস্বাস্থ্য নিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করতেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই হিউস্টনে পৌঁছেছিলেন শালিনীর মামা এবং ভাই। তবে শেষ পর্যন্ত আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরা হল না শালিনীর।

আরও পড়ুন: ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু, হার্ভে-ত্রাস লুইজিয়ানায়

সোমবার হিউস্টনের সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে মৃত্যু হয় শালিনীর

আবহাওয়া দফতর আগেই ঘোষণা করেছিল, গত ১২ বছরে হারিকেন হার্ভের মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আসেনি আমেরিকায়। দুর্যোগ মোকাবিলায় সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিল আপৎকালীন বাহিনী। যদিও শুক্রবার উপকূলে আঘাত করার পরেই শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে হার্ভে। তবে বন্যার যে রূপ ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, তাতে দুশ্চিন্তা কাটছে না প্রশাসনের। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। আপাতত ক্ষয়ক্ষতির যে ছবি, তাতে ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত পোর্ট আরানসাস শহর। মেয়র চার্লস বুজান জানিয়েছেন, হ্যারিকেনে যেন মুছে গিয়েছে গোটা শহরটা। কোনও কোনও অঞ্চল এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত যে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী বাহিনীর পৌঁছতে দেরি হওয়ায় সেখানে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। রবিবার সেখান থেকে আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। হিউস্টনে গাড়ির ভিতর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক জনকে।

ছবি: শালিনীর ফেসবুকের সৌজন্যে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE