একের পর এক হামলায় বিধ্বস্ত গাজ়া। ছবি: রয়টার্স।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ইজ়রায়েলি হানায় বিধ্বস্ত গাজ়ায় মৃত্যু যমজ শিশুর। গাজ়ার দের-আল-বালাহ এলাকায় বাড়ি মহম্মদ আবু আল-কুসমানের। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী যমজ সন্তানের জন্ম দেন। মাত্র চার দিন বয়স হয়েছিল দু’জনের। পুত্র আসার ও কন্যা আয়েসেল। তাদের জন্ম শংসাপত্র আনতে সরকারি অফিসে গিয়েছিলেন কুসমান। সেই সময়েই তাঁর কাছে এক প্রতিবেশীর ফোন আসে। জানতে পারেন, বাড়িতে বোমা পড়েছে। ঘটনায় শুধু স্ত্রী ও শাশুড়ি নয়, প্রাণ হারায় আয়েসেলের দুই সদ্যোজাত সন্তানও।
ঘর আলো করে দুই সন্তানের জন্ম হওয়ায় যেখানে খুশির হাওয়া থাকার কথা, সেখানে কুসমানের জীবনে ঝুপ করে নেমে এসেছে অন্ধকার। তিনি বলেন, “কী হয়েছে কিছুই জানি না। আমাকে বলা হল, বাড়িতে বোমা পড়েছে। দুই সন্তানের জন্ম উদ্যাপন করার সময়টুকু পেলাম না।”
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে সেখানে ১১৫ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে খবর, যখন ইজ়রায়েল-গাজ়া যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তখন কুসমান তাঁর পরিবারকে নিয়ে গাজ়া শহর ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। আশ্রয় নিয়েছিলেন মধ্য গাজ়ার ওই এলাকায়। হামাসের তরফে দাবি করা হচ্ছে, ওই হামলা ইজ়রায়েলি সেনাই চালিয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে ইজ়রায়েলের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
ইজ়রায়েলের তরফে অবশ্য আগেই বলা হয়েছিল, সাধারণ নাগরিকের যাতে ক্ষতি না হয়, তারা সেই চেষ্টাই করেন। উল্টে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর জন্য বরাবর হামাসকেই দায়ী করে এসেছে তেল আভিভ। তবে নির্দিষ্ট কোনও হামলার বিষয়ে মুখ খোলেনি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহে গাজ়ায় এমন একাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চলেছে। গত শনিবার একটি স্কুল ভবনে হামলা হয়েছিল। তাতে অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy