প্রতীকী ছবি।
এ যেন ঠিক বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! ৯/১১ হানার পর থেকে সরাসরি আমেরিকায় পৌঁছতে চাইলে, বিশ্বের যে দেশের বিমানবন্দর থেকেই সফরটি শুরু হোক না কেন, সেখানে ওয়াশিংটনের বেঁধে দেওয়া নিরাপত্তার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হয়। তা হলেই যাত্রীদের বিমানে ওঠার ছাড়পত্র মেলে। কিন্তু সেই কড়া নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গুলি ভরা বন্দুক নিয়ে বার্বাডোস থেকে আমেরিকায় পৌঁছলেন এক যাত্রী।
আমেরিকান এয়ারলায়েন্স-এর একটি বিমানে বার্বাডোস থেকে ফ্লরিডার মায়ামিতে অবতরণ করতেই অবশ্য ক্যামেরন হাইন্ডস নামে ওই ব্যক্তির দিকে নজর যায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের। গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয় তাকে। আদালতে যে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং কম করে পাঁচ হাজার ডলার জরিমানা অবধারিত। যদিও সে নির্দোষ বলেই দাবি ক্যামেরনের। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে মায়ামির এক জেলে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ফের কাঠগড়ায় তোলা হবে তাকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পাঁচটি ৩২ ক্যালিবার বুলেট ছিল ক্যামেরনের বন্দুকে। ফলে মাঝ-আকাশে যে কোনও রকমের বিপর্যয় ঘটিয়ে ফেলা তার পক্ষে অসম্ভব ছিল না। বিমানবন্দরের প্রকাশ করা একটি ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেকপয়েন্টে আটকানো হচ্ছে ক্যামেরনকে। কারণ, ট্র্যান্সপোর্টেশন সিকিয়োরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ)-এর আধিকারিকদের প্রথম নজরে আসে যে সঙ্গে বন্দুক রয়েছে।
ধরা পড়ার পর তদন্তকারীদের ক্যামেরন জানায়, বার্বাডোস থেকে বিমানে ওঠার সময় থেকেই তার প্যান্টের পকেটে ছিল গুলি ভরা ওই বন্দুকটি। তা হলে বার্বাডোসের ফেডারেল নিরাপত্তা আধিকারিকদের চোখ এড়াল কী ভাবে? প্রশ্ন সেখানেই। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন জানিয়ে মায়ামিতে কর্মরত বার্বাডোসের কনসাল জেনারেল নেভাল গ্রিনরিজ বলেন, ‘‘বার্বাডোসের বিমানবন্দরে ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি করা হয়। স্ক্যানও হয়। তবে তখন ল্যাপটপের নীচে বন্দুকটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ফলে তা ধরা পড়েনি। ভুলটা তখনই হয়ে যায়। উচিত ছিল ল্যাপটপটি সরিয়ে দেখা। যা করা হয়নি।’’ কেন এমনটা হল তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলেও। জানা গিয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি টিএসএ নিজস্ব তদন্তকারী দলও পাঠাচ্ছে বার্বাডোসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy