মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সওয়াল করলেন তালিবানের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
আড়াই বছর আগে কাবুল দখল করার পর থেকেই আফগানিস্তানে মেয়েদের প্রাথমিক স্তরের পর থেকে সব রকমের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিয়েছে তালিবান। তা নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে তালিবান স্পষ্ট জানিয়েছিল, তারা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরবে না। সেই অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে এ বারে মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সওয়াল করলেন সেই তালিবানেরই এক প্রভাবশালী মন্ত্রী।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই সীমান্ত ও উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়াদের দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, তালিবানের জনবিচ্ছিন্নতার মূল কারণ মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধ।
স্তানিকজাই বলেন, ‘‘এটা (শিক্ষা) সবার অধিকার। ঈশ্বর ও নবির দেওয়া অধিকার। কেউ তা খর্ব করলে সেটা দেশের মানুষের উপরে নিপীড়ন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দরজা সবার জন্য খোলার চেষ্টা করা দরকার। আজকের দিনে শিক্ষার বিষয়টিই পড়শি এবং বাকি বিশ্বের সঙ্গে আমাদের একমাত্র সমস্যার জায়গা।’’ স্তানিকজাইয়ের এই মন্তব্যের পরে প্রশ্ন উঠেছে, বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে মহিলাদের শিক্ষার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান কি বদলাতে পারে তালিবান?
২০২১-এর ১৫ অগস্ট কাবুল পুনর্দখল করে তালিবান। সেই থেকে আফগানিস্তানে ষষ্ঠ শ্রেণির পরে মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ। অচিরেই শিক্ষিকাদেরও চাকরি যায়। বহু মহিলার শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র পুড়িয়ে দেওয়া বা কেড়ে নেওয়া, স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথে মারধর করার মতো ঘটনাও দেখেছে সে দেশ।
এ সবের মধ্যে বিলাল সারওয়ারি নামে এক সাংবাদিক আজ এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন। তাতে ষষ্ঠ শ্রেণি উত্তীর্ণ জয়নাব আলিজাই নামে এক কিশোরী চোখের জলে বিদায় জানাচ্ছে স্কুলের সবাইকে। সঙ্গে বলছে, সে চায় পিএইচ ডি করতে। তার পরে দেশের শিক্ষামন্ত্রী হতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy