শ্রীনিবাস কুচিভোটলার পর হার্নিশ পটেল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকায় মাত্র আট দিনের ব্যবধানে খুন হয়ে গেলেন দু’জন ভারতীয়।
৪৩ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী হার্নিশকে বৃহস্পতিবার রাতে সাউথ ক্যারোলাইনার ল্যাঙ্কাস্টার কাউন্টিতে তাঁর বাড়ির কাছেই গুলি করে খুন করা হয়। আততায়ী অধরা। স্থানীয় শেরিফ ব্যারি ফেল বলেছেন, ‘‘নেপথ্যে বর্ণবিদ্বেষ আছে বলে মনে হয় না।’’ বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ নাগাদ নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি রওনা হয়েছিলেন হার্নিশ। গাড়িতে দোকান থেকে বাড়ি ১০ মিনিটের পথ। সাড়ে ১১টা নাগাদ হার্নিশের পাড়ার এক মহিলা গুলির আওয়াজ আর আর্তনাদ শুনে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। পুলিশ এসে হার্নিশের বাড়ির সামনে থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বাকিংহ্যামের ‘রয়াল কিচেন’
স্ত্রী ও একটি শিশুসন্তান নিয়ে ছিল হার্নিশের সংসার। তাঁর হত্যাকাণ্ডে নতুন করে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বেড়েছে ভারতীয়দের। তাঁর দোকানের নিয়মিত খদ্দের নিকোল জোন্স বলেন, ‘‘টাকাই শেষ কথা ছিল না হার্নিশের কাছে। কারও টাকা না থাকলেও খাবারদাবার দিতে কার্পণ্য করতেন না।’’ আর এক খদ্দের মারিও স্যাডলারের কথায়, ‘‘কঠিন সময়ে পাশে থাকতেন হার্নিশ। এক বার আমার চাকরিও করে দিয়েছিলেন।’’ দোকানের এক কর্মীও বলেন, ক্রেতাদেরও সব সময়ে সেরাটা দিতে চাইতেন হার্নিশ। এমনকী টিভি সাক্ষাৎকারে হার্নিশকে ‘ভাল বন্ধু’ বলেছেন শেরিফও।
ঘটনাচক্রে আজই শ্রীনিবাসের হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেছেন ভারতের বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, হার্নিশের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আটলান্টার ভারতীয় কনসুলেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy