Advertisement
E-Paper

বাড়ছে বিক্ষোভ, হুমকি পুলিশের সদর দফতরেও

চোখে ঘুম নেই পুলিশের। তৎপর প্রশাসনও। তবু থামছে না বিক্ষোভ। লুইজিয়ানা ও মিনেসোটায় দুই কৃষ্ণাঙ্গ খুনের বিরোধিতায় নাজেহাল মার্কিন মুলুক। আজও দেশের নানা প্রান্তে রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছে হাজার-হাজার মানুষকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৬
ডালাসে এএফপির তোলা ছবি।

ডালাসে এএফপির তোলা ছবি।

চোখে ঘুম নেই পুলিশের। তৎপর প্রশাসনও। তবু থামছে না বিক্ষোভ। লুইজিয়ানা ও মিনেসোটায় দুই কৃষ্ণাঙ্গ খুনের বিরোধিতায় নাজেহাল মার্কিন মুলুক। আজও দেশের নানা প্রান্তে রাস্তা জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছে হাজার-হাজার মানুষকে। পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র ‘নিউ ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি’-র বেশ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া গিয়েছে। মিছিল থেকে গ্রেফতার অন্তত ২০০। পুলিশকে লক্ষ করে বোতল এবং পাথর ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেটে জবাব দেয় উর্দিধারীও। যদিও প্রশাসনের দাবি, বেশির ভাগ বিক্ষোভ মিছিলই ছিল শান্তিপূর্ণ।

বৃহস্পতিবারের হামলার ধাক্কা তবু কাটিয়ে উঠতে পারছে না ডালাস পুলিশ। সে দিন সংঘর্ষে নিহত হামলাকারী মিকার বাড়ি থেকে বিস্ফোরক মেলার পরেই শহর জুড়ে হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু শনিবার দেখা গেল, ‘সুরক্ষিত’ নয় ডালাস পুলিশের সদর দফতরও। সেখানে এক সন্দেহভাজন লুকিয়ে আছে, এমন হুমকি পাওয়ার পরেই যৌথ অভিযানে নামে পুলিশের ডগ ইউনিট এবং সোয়াট বাহিনী। তবে বহুতল পার্কিং লটে টানা তল্লাশি চালিয়েও গত কাল কাউকে শনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

উত্তেজনার পারদ চড়ছে মিনেসোটাতেও। অভিযোগ, বুধবার সেখানে ফিলান্ডো ক্যাস্টাইল নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে তাঁর গাড়ির মধ্যেই গুলি করে মারে পুলিশ। যার বিরোধিতায় শনিবার রাতভর সেখানে ধর্না-বিক্ষোভ হয়েছে বলে খবর। যদিও অভিযুক্ত পুলিশের কৌঁসুলি আজ বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, অপরাধীদের তালিকায় থাকা ক্যাস্টাইল সে দিন ট্রাফিক আইন ভেঙেছিল। উপরন্তু তার কাছে বন্দুকও ছিল। যদিও এই যুক্তি মানতে চাইছেন না প্রতিবাদীরা। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন— দূর থেকেই পুলিশ বুঝল কী করে যে সেই অস্ত্র বেআইনি! একই সঙ্গে, মার্কিন মুলুকের ‘অনিয়ন্ত্রিত’ অস্ত্র আইন নিয়েও নতুন করে সুর চড়াচ্ছেন কেউ কেউ। ডালাসে পুলিশের উপর হামলাকারীর কাছেও সে দিন অন্তত দু’টি অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। স্নাইপারের সঙ্গে একটি হ্যান্ডগানও। কী ভাবে এ সব তার হাতে এল, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, মার্কিন সেনার প্রাক্তন সদস্য মিকা টানা দু’বছর স্থানীয় একটি সেল্‌ফ ডিফেন্স স্কুলে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেয় গুলি চালানোর। আর বৃহস্পতিবারের কথা মাথায় রেখেই।

Dallas Agitation Atlanta Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy