Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Aung San Suu Kyi

সু চি-র জন্মদিন, চুলে ফুল গুঁজলেন আন্দোলনকারীরা

ইয়াঙ্গনে রীতিমতো পোস্টার টাঙিয়ে নেত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সেনা-শাসন বিরোধী আন্দোলনকারীরা।

উদ্‌যাপন: মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র জন্মদিনে তাঁর সমর্থনে চুলে ফুল গুঁজেছেন সমর্থকেরা। শনিবার।

উদ্‌যাপন: মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-র জন্মদিনে তাঁর সমর্থনে চুলে ফুল গুঁজেছেন সমর্থকেরা। শনিবার। ছবি রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নেপিদ শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ০৬:৩৭
Share: Save:

খোপায় ফুল গুঁজতে ভালবাসেন তিনি। বরাবর এই সাজেই দেখা গিয়েছে মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চি-কে। শনিবার তাঁর জন্মদিনে তাই চুলে ফুল গুঁজেই দিনটি পালন করতে দেখা গেল তাঁর সমর্থকদেরও। ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের শুরুর দিন থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নেত্রীকে গৃহবন্দি করেছে সেনা। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। যে সূত্রে আগামী সপ্তাহে ফের আদালতে তোলা হতে পারে সু চি-কে।

শনিবার ছিল নেত্রীর ৭৬ তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সু চি-র মতো করে ফুল দিয়ে করা কেশসজ্জার ছবি এ দিন ট্রেন্ডিং ছিল মায়ানমার জুড়ে। এতে গা ভাসান মায়ানমারের মিস ইউনিভার্স খেতাব জয়ী থুজ়ার উইন্ট লুইনও। লাল ফুল দিয়ে চুল সাজিয়ে ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের নেত্রী যেন সুস্থ থাকেন।’’

ইয়াঙ্গনে রীতিমতো পোস্টার টাঙিয়ে নেত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান সেনা-শাসন বিরোধী আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি নেত্রীর পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার কালো ছাতা মাথায় দিয়ে শামিল হন পদযাত্রায়। তাঁদের সকলের হাতেই ছিল সু চি-র মুখ আঁকা ব্যানার। যাতে লেখা, ‘‘ভয় থেকে মুক্তি’’। সীমান্ত লাগোয়া কারেন প্রদেশে কয়েক জন বন্দুকধারী আন্দোলনকারীর ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাঁদের এক হাতে বন্দুক থাকলেও অন্য হাতে ছিল নানা রঙের ফুলের তোড়া। আর সকলেই কানের পিছনে গুঁজেছিলেন একটি করে ফুল। মায়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বে দাওয়েই শহরে গোলাপি রঙের বিশালাকার কেক কেটে নেত্রীর জন্মদিন পালন করেন তাঁর সমর্থকেরা।

তবে জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা দিলেও সকলেই যে দরাজ কণ্ঠে নেত্রীর প্রশংসায় মুখর, তেমনটা নয়। বছর ৩৫-এর এক আন্দোলনকারী যেমন বললেন, ‘‘আজ সু চি-র পাশে আছি কারণ তিনি সেনার হাতে অন্যায় ভাবে বন্দি।’’ কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘রোহিঙ্গা-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের সময় তিনি চুপ করে ছিলেন কেন? মুক্তির পর এর সম্পূর্ণ দায় নিতেই হবে সু চি-কে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Myanmar Aung San Suu Kyi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE