—ফাইল চিত্র।
সীমান্ত-হত্যার মতো কয়েকটি বিষয়কে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কলঙ্কের দাগ বলে অভিহিত করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের পরে ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “বিএসএফ-এর গুলিতে বাংলাদেশি মারা যাওয়ার ঘটনা আমাদের হতাশ করে। এগুলি নেতিবাচক ঘটনা। আমাদের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ হলেও এগুলো তাতে কলঙ্ক তৈরি করে।”
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনা এ দিন আলোচনায় বিষয়টি তুলেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, কোনও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না। আমরা তাদের বিশ্বাস করতে চাই।” মোমেন জানান— ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে যে ব্রিকস ব্যাঙ্ক তৈরি করছে, বাংলাদেশেকে তাতে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ভারত-মায়ানমার-তাইল্যান্ড সড়ক প্রকল্পেও বাংলাদেশকে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী বলেন, কৌশলগত কারণে এই সড়ক প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এ দিন দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে বিদেশনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। তিনি জানান, গোটা বিশ্বে ভারত বিভিন্ন দেশকে যে ঋণ সহযোগিতা দেয়, তার ৩০ শতাংশই দেয় কেবল বাংলাদেশকে। দোরাইস্বামী বলেন, “যে শর্তে বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়া হয়েছে, বিশ্বের আর কোনও দেশ সেই সুযোগ পায় না। আমরা মনে করি, জাপান ছাড়া আর কোনও দেশের কাছ থেকে বাংলাদেশও এত সহজ শর্তে ঋণ পায় না।” তবে সেই সাহায্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ঢিলেমি রয়েছে বলে মনে করেন দোরাইস্বামী। আগামী কয়েক মাসে সে বিষয়ে গতি আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
ভারতের হাইকমিশনার জানান, কোভিডের প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ নীরবে আলোচনা চালাচ্ছে। নেপাল, ভুটান, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে দিল্লি। শুধু টিকা সরবরাহ নয়, আগ্রহী দেশের সংস্থাগুলি চাইলে তাদের দেশে প্রতিষেধক উৎপাদনেও সহযোগিতা করতে তৈরি ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy