কাতারের আল-উদেদ’এ একটি আমেরিকান বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রসামগ্রী ভর্তি এক ধরনের অর্ধগোলকাকৃতি পরিকাঠামোর উপরে এসে পড়েছিল ইরানের সেই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। গত ২৩ জুনের ঘটনা। আমেরিকা ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালানোয়, ‘জবাবে’ এই কাজ করেছিল ইরান। তবে এত দিন এ কথা চাপা ছিল। সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল ইরানের হামলার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কাতার চুপ। ইরান অবশ্য ফুঁসে উঠেছে। তাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই আজ আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ইসলামিক রিপাবলিক আমেরিকার মুখে সপাটে একটা চড় মেরেছিল। ওদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি, আল-উদেদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। ভাল ক্ষতি হয়েছে ওদের।’
হুমকির সুরে খামেনেই আরও বলেছেন, ‘‘এই অঞ্চলে আমেরিকার সব ক’টা গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে হামলা চালানোর ক্ষমতা আমরা রাখি। যখন প্রয়োজন মনে করব, তখন ব্যবস্থা নেব। এ দিন যেটা হয়েছে, সেটা উল্লেখযোগ্য। আর সেটা আবারও ঘটতে পারে।’’ ফাঁকা হুমকি নয়। গত কালও (১১ জুলাই) দোহায় আমেরিকার আর একটি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। সামান্যই ক্ষতি হয়েছে সেই হামলায়, যদিও আমেরিকা তাদের সমস্ত যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিয়েছে।
ইরানের হামলাগুলোকে আগাগোড়াই ‘ছোটখাটো আক্রমণ’, ‘সামান্য ক্ষতি’ হিসেবে দেখিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ২৫ জুন তোলা ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে আল-উদেদ বায়ুসেনা ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোটি আর নেই। আশপাশের বাড়িগুলিতেও ধ্বংসের চিহ্ন স্পষ্ট। পেন্টাগনের মুখপাত্র পারনেল আজও দাবি করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ‘যন্ত্রপাতি কিংবা পরিকাঠামোর সামান্য ক্ষতি হয়েছে’। তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘আল-উদেদ বায়ুসেনা ঘাঁটি সম্পূর্ণ ভাবে কার্যক্ষম রয়েছে। কাতারের সঙ্গে যে কোনও অভিযান চালানোর ক্ষমতা ওই ঘাঁটির রয়েছে। অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কোনও অসুবিধা হবে না।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)