Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
World Bank

ফের দারিদ্রের আঁধারে ১০ কোটি: বিশ্ব ব্যাঙ্ক

গরিব দেশগুলিকে ঋণের ফাঁস থেকে স্বস্তি না-দিতে পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৬:০৫
Share: Save:

করোনাভাইরাস অতিমারির জেরে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ভয়াবহ দারিদ্রসীমার নীচে ফিরে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সতর্ক করে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপ্যাস জানিয়েছেন, গরিব দেশগুলিকে ঋণের ফাঁস থেকে স্বস্তি না-দিতে পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন তাঁরা।

অতিমারি ও তার জেরে দুনিয়া জুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পরে প্রাথমিক হিসেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রেগুলিতে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ায় দীর্ঘ লড়াইয়ে দারিদ্রসীমা পেরিয়ে আসা ৬ কোটি মানুষ ফের সেই দারিদ্রের অন্ধকারে ফিরে যাবেন। তার পরে এখন পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন যে হয়েছে তা নয়। অতিমারির প্রভাব আগের হিসেবের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে স্বীকার করে নিচ্ছে রাষ্ট্রগুলিকে ঋণদানের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট নতুন যে হিসেব দিচ্ছেন, তাতে আগের ৬ কোটির সংখ্যাটি বেড়ে ৭ থেকে ১০ কোটিতে দাঁড়াতে চলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ম্যালপ্যাস জানান, স্বাভাবিক ভাবে সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে বিশ্বের গরিব দেশগুলি। ঋণ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি যাতে তাদের কাছে বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়, সে জন্য অসুবিধায় পড়া দেশগুলির সঙ্গে নতুন বোঝাপড়া দরকার। তাঁর সংস্থা সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। জি২০ সংগঠনের সদস্য উন্নত দেশগুলি গরিব দেশগুলির ঋণ ফেরত আপাতত স্থগিতের কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, পরিস্থিতি এখন যে জায়গায়, তাতে এতেই সমস্যা মিটবে না। গরিব দেশগুলি যাতে তাদের নাগরিকদের জীবনধারণের মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ করে সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই উদ্দেশ্যে আগামী বছরের জুন থেকে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ১০০টি সব চেয়ে গরিব দেশের জন্য ১৬ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দের প্রকল্প নিয়েছে।

তবে অতিমারির ফলে জনজীবন যত বেশি দিন স্তব্ধ থাকবে, দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যাওয়া মানুষের সংখ্যাটাও তত বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তার পরেও বিশ্ব ব্যাঙ্কের চিফ ইকনমিস্ট কারমেন রেনহার্টের সুরে পরিস্থিতিকে এখনই তিনি ‘অতিমারিজনিত মন্দা’ বলতে রাজি নন। ম্যালপ্যাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতিকে মন্দার সূচনা বলা যেতে পারে বড় জোর।’’ তাতে প্রশ্ন, সূচনাই যদি এই হয়, তবে মূল মন্দার প্রতিক্রিয়া কতটা ভয়াবহ হতে পারে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

World Bank Poverty Coronavirus Pandemic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE