Advertisement
E-Paper

আমাজ়নের জঙ্গলে ৪০ দিন ধরে বেঁচে থাকল কী করে চার শিশু? ব্যাখ্যা দিল কলম্বিয়ার সংস্থা

বিমান দুর্ঘটনার পর প্রায় ৪০ দিন পরে উদ্ধার করা হয় ওই চার শিশুকে। এত দিন ধরে গভীর অরণ্যে জনজাতি সমাজের অন্তর্ভুক্ত ওই চার শিশু বেঁচে থাকল কীভাবে, তা নিয়ে নানা জনের নানা মত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৩ ১৪:৫২
Amazon plane crash how children who were lost for 40 days survived

আমাজ়নের জঙ্গল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করল কলম্বিয়ার সেনা। —রয়টার্স।

বিমান দুর্ঘটনার পর ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তারা মারা গিয়েছে। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে বিমান ভেঙে পড়ার প্রায় ৪০ দিন পরে দেখা পাওয়া যায় তাদের। কলম্বিয়ায়, আমাজ়নের গভীর জঙ্গলে! বিমান দুর্ঘটনায় মাকে হারানোর পর এই শিশুরা ৪০ দিন ধরে বেঁচে থাকল কী করে, তার একটি সম্ভাব্য কারণের কথা জানাল কলম্বিয়ার একটি সংগঠন।

ইঞ্জিন বিকল হওয়ার জেরে গত ১ মে আমাজ়নের জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিল ছোট যাত্রীবাহী বিমান ‘সেসনা ২০৬’। ওই বিমানে চার শিশু-সহ মোট ছ’জন যাত্রী ছিলেন। তা ছাড়াও দুই পাইলট ছিলেন এক ইঞ্জিনের ওই বিমানে। বিমানটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ার পর চার জনের দেহ উদ্ধার করে কলম্বিয়ার সেনা। কিন্তু উইটোটো জনজাতি সমাজের অন্তর্ভুক্ত ওই চার শিশুকে পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছিল জঙ্গলে। শুক্রবার নিজেই টুইট করে তাদের খুঁজে পাওয়ার খবর জানান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো।

কলম্বিয়ায় আদিম জনজাতি সমাজকে নিয়ে কাজ করে ‘ন্যাশনাল ইনডিজেনাস অর্গানাইজেশন অফ কলম্বিয়া’ নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার এক সদস্য লুইস অ্যাকোস্টা সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, “ওরা আদিম জনজাতি সমাজে বড় হয়েছে। ওরা জঙ্গলকে খুব ভাল করে চেনে। ওরা এটাও জানে যে, জঙ্গলে কোনটা খেতে হয়, আর কোনটা খেতে নেই।” এর পাশাপাশি গভীর জঙ্গলে তাদের এত দিন ধরে বেঁচে থাকার কারণ হিসাবে ‘আধ্যাত্মিক শক্তি’র ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন অ্যাকোস্টা।

কলম্বিয়া প্রশাসন সূত্রে খবর, আমাজ়নের যে জায়গা থেকে ওই চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে হিংস্র পশুদের বাস। রয়েছে বিষাক্ত গাছপালাও। ওই প্রতিকূল পরিবেশে তারা এত দিন ধরে বেঁচে থাকল কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে অনেকের মধ্যেই। জানা গিয়েছে, শিশুগুলির মধ্যে এক জনের বয়স ১৩, এক জনের নয়, এক জনের চার এবং অন্য জনের মাত্র এক। বোগোটার সেনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে চার জনের। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছে তারা। হাসপাতালে তাদের দেখতে গিয়েছিলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট।

শনিবারই একটি টুইট করে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই চার শিশুকে উদ্ধারের ঘটনাকে ‘গোটা দেশের আনন্দ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। শিশুগুলির দাদু ফিদেনসিও ভ্যালেন্সিয়া সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছিলেন, দ্রুত তাঁর একটা হেলিকপ্টারের প্রয়োজন, যাতে তিনি ওই চার জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারেন। কলম্বিয়ার সেনাই অবশ্য হেলিকপ্টারে তাদেরকে দুর্গম জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

Amazon Forest Plane Crash four children columbia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy