প্রতীকী ছবি
লাদাখ কাণ্ডে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যেরা। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সেনেট— মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সদস্যেরাই সরাসরি গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বেজিংয়ের ঘাড়ে। দলমত নির্বিশেষে তাঁরা চিনের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানেরও প্রশংসা করেছেন।
গত মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে চিনা সেনার টানাপড়েন চলছিল। যা চরম আকার নেয় ১৫ জুন। গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনার সংঘর্ষে প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় সেনার। গত কয়েক মাসে আমেরিকার সঙ্গেও চিনের সম্পর্কে শীতলতা চলছে। গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য বহু বার বেজিংয়ের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাণিজ্য চুক্তি ও হংকংয়ের নতুন আইন নিয়েও দু’পক্ষ বিবাদে জড়িয়েছে।
লাদাখ সীমান্তে সংঘাত নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের বিভিন্ন সদস্য গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক বার সরব হয়েছেন। এবং তাঁদের প্রত্যেককেই নয়াদিল্লির হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। কেউ সভাকক্ষে দাঁড়িয়ে ভারত সীমান্তে চিনের নাক গলানোর সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিংহ সাঁধুকে চিঠি লিখে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা তথা হাউসের সদস্য ফ্র্যাঙ্ক পালোন বরাবর ভারত-মার্কিন সুসম্পর্কের উপরে জোর দিয়ে এসেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘চিনকে অবিলম্বে এই সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এই দ্বন্দ্বের শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে বলে আমি মনে করি।’’
আরও পড়ুন: করোনা-আবহে আসছে ‘ভাল থাকার পাসপোর্ট’
ভারতীয় সেনা-জওয়ানদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরের দিনই তরণজিৎকে ফোন করে সহমর্মিতা জানান কলোরাডোর রিপাবলিকান সেনেটর করি গার্ডনার। তিনিও ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক দৃঢ় করার উপরে জোর দিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে সেনেটর রিক স্কট নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে নয়াদিল্লির অবস্থানের পক্ষে তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রো খন্না, প্রমিলা জয়পাল-সহ বেশ কয়েক জন কংগ্রেস সদস্য আবার খুব সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন তরণজিৎকে। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে তাদের যা চুক্তি, তার বিরুদ্ধে হাঁটছে চিন। গোটা এলাকার স্থিতিশীলতা নড়বড়ে করতে ভারতীয় সেনাকে ওখানে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বেজিং।’’ হাউস কমিটির চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস সদস্য ইলিয়ট এঞ্জেল বলেছেন, ‘‘চিনের এই কার্যকলাপে আমরা উদ্বিগ্ন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না-করে আরও একবার পড়শি দেশকে উত্ত্যক্ত করার কাজ করছে চিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy