সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে কিভকে ২৮ দফা খসড়া পরিকল্পনা পাঠালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও সেই খসড়া পরিকল্পনা তৈরির সময়ে ইউক্রেনের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না বলে সূত্রের খবর।
এখনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইউক্রেনের দূত ওই চুক্তিকে অবান্তর ও অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ইউরোপের একাধিক দেশও এই প্রস্তাবিত চুক্তির বিরোধী। মস্কোও কতটা এই চুক্তি মানবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিটের অবশ্য দাবি, “প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এই পরিকল্পনাটিকে সমর্থন করেছেন। এটি রাশিয়া এবং ইউক্রেন, উভয় দেশের জন্যই ভাল হবে।” হোয়াইট হাউস বলেছে, জ়েলেনস্কি প্রস্তাবের খসড়াটি পেয়েছেন। তারা আশাবাদী, তিনি সংঘর্ষবিরতির জন্য অচিরেই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, কিভকে সেনার সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে ছ’লক্ষে নামিয়ে আনতে হবে। তাদের হাতে থাকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দেওয়া যুদ্ধবিমানগুলি প্রতিবেশী পোল্যান্ডে রাখতে হবে এবং সে দেশে নেটোর কোনও সেনা থাকবে না। বিনিময়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব নেবে আমেরিকা। ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়ার দাবি ছাড়তে হবে। ডনবাস (লুহানস্ক ও ডনেৎস্ক) রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তবে আমেরিকারও আংশিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে সেখানে। ডনবাসের কিছু অংশ এখনও কিভের নিয়ন্ত্রণে। বলা হয়েছে, ডনেৎস্কের যে এলাকাগুলি থেকে ইউক্রেন সরে এসেছে, সেগুলিকে একটি অসামরিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সেখানে রুশ বাহিনী ঢুকবে না।
রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা খেরসন ও জ়াপোরিজ়িয়ার দক্ষিণাঞ্চল পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণরেখা হিসেবে ধরা হবে। যুদ্ধ শুরুর পরেই জ়াপোরিজ়িয়া পরমাণু কেন্দ্রের দখল নেয় রাশিয়া। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, সেটির নিয়ন্ত্রণ থাকবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার হাতে। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দু’টি দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)