Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
World Trade Centre

9/11 Attack: ‘৯/১১ ভুলবে না আমেরিকা’

চারটি বিমান ছিনতাই করে এই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা। দু’টি বিমান আছড়ে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে।

ধূলিসাৎ টুইন টাওয়ার। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এর উপগ্রহ চিত্র।

ধূলিসাৎ টুইন টাওয়ার। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এর উপগ্রহ চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:৩৪
Share: Save:

বিশ বছর আগের ওই জঙ্গি হানা বদলে দিয়েছে বিশ্বকে। ২০০১ সালে এই হানার পরেই আফগানিস্তান আক্রমণ করেছিল ওয়াশিংটন। তার পরে জল গড়িয়েছে অনেক দূর। হত্যা করে হয়েছে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে। ইতিমধ্যে তালিবান ফের আফগানিস্তানের মসনদে। সেই দেশ ছেড়েছে আমেরিকার সেনা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ৯/১১ জঙ্গি হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল আমেরিকা।

নিউ ইয়র্কের সেই গ্রাউন্ড জ়িরো, যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল টুইন টাওয়ার, সেখানে এখন দু’টি সরোবর। সেখানে এ দিন প্রার্থনা করেন জঙ্গি হানায় নিহত প্রায় তিন হাজার মানুষের আপনজনেরা। স্মরণ করেন চিরতরে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনেদের।

চারটি বিমান ছিনতাই করে এই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছিল আল কায়দা। দু’টি বিমান আছড়ে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। একটি আঘাত হেনেছিল পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে। আর একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলের একটি মাঠে। সেই সময়গুলিকে স্মরণ করে এ দিন নীরবতা পালন করা হয়। প্রকাশ করা হয়েছে টুইট টাওয়ারের ধ্বংসলীলার উপগ্রহ চিত্র।

শুক্রবারই নিউ ইয়র্কে পৌঁছে গিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত কালই রাতেই ৯/১১-র ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ভিডিয়ো-বার্তায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আমার কাছে ১১ সেপ্টেম্বরের মূল শিক্ষা হল, কঠিন সময়ে আমেরিকার আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’’

ওই জঙ্গি হামলার পরে পেরিয়ে গিয়েছে ২০টি বছর। আমেরিকায় ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় এই জঙ্গি হানার আতঙ্ক আজও তাড়া করে আমেরিকাবাসীকে। তেমনই এক জন মনিকা আইকেন-মরফি, যিনি এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় হারিয়েছেন তাঁর ৩৭ বছরের স্বামী মাইকেল আইকেনকে। তিনি বলেন, ‘‘বহু আমেরিকাবাসীর কাছে এটা শুধু একটা বর্ষপূতি। কিন্তু আমার মনে হয় ঘটনাটি এখনই ঘটেছে।’’ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন স্টিফেন সিলার। তাঁর ভাই ফ্রাঙ্ক সিলার বলেন, ‘‘এটা পার্ল হারবারের মতো। আমেরিকা পার্ল হারবারকে ভোলেনি এবং আমেরিকা ৯/১১-কেও ভুলবে না।’’

৯/১১ স্মরণে। নিউ ইয়র্কে সস্ত্রীক তিন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট। (বাঁ দিক থেকে) বিল ও হিলারি ক্লিন্টন, বারাক ও মিশেল ওবামা এবং জো ও জিল বাইডেন। শনিবার নিউ ইয়র্কে। রয়টার্স

৯/১১ স্মরণে। নিউ ইয়র্কে সস্ত্রীক তিন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট। (বাঁ দিক থেকে) বিল ও হিলারি ক্লিন্টন, বারাক ও মিশেল ওবামা এবং জো ও জিল বাইডেন। শনিবার নিউ ইয়র্কে। রয়টার্স

এ দিন সকালে গ্রাউন্ড জ়িরোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিন্টন, প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং প্রাক্তন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন-সহ অনেকেই। ৮টা ৪৬ মিনিটে প্রথম বিমান হানা হয় টুইন টাওয়ারে। এই মুহূর্তটিকে স্মরণ করে নীরবতা পালন করেন বাইডেন, ওবামা, ক্লিন্টন-সহ উপস্থিত জনতা।

গ্রাউন্ড জ়িরো থেকে বাইডেন যান পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলে। সেখানে পুষ্পস্তবক দিয়ে নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাজানো হয় ঘণ্টা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলেই এই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। এ দিন শ্যাঙ্কসভিলে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। সেখান থেকে বাইডেন যান পেন্টাগনে।

৯/১১-র ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখের দিন।’’ আফগানিস্তানের জটিল পরিস্থিতির জন্য বাইডেনকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

World Trade Centre 9/11 Attack Twin Tower
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE