শুক্রবারই নিউ ইয়র্কে পৌঁছে গিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত কালই রাতেই ৯/১১-র ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি ভিডিয়ো-বার্তায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আমার কাছে ১১ সেপ্টেম্বরের মূল শিক্ষা হল, কঠিন সময়ে আমেরিকার আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।’’
ওই জঙ্গি হামলার পরে পেরিয়ে গিয়েছে ২০টি বছর। আমেরিকায় ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় এই জঙ্গি হানার আতঙ্ক আজও তাড়া করে আমেরিকাবাসীকে। তেমনই এক জন মনিকা আইকেন-মরফি, যিনি এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় হারিয়েছেন তাঁর ৩৭ বছরের স্বামী মাইকেল আইকেনকে। তিনি বলেন, ‘‘বহু আমেরিকাবাসীর কাছে এটা শুধু একটা বর্ষপূতি। কিন্তু আমার মনে হয় ঘটনাটি এখনই ঘটেছে।’’ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আগুন নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন স্টিফেন সিলার। তাঁর ভাই ফ্রাঙ্ক সিলার বলেন, ‘‘এটা পার্ল হারবারের মতো। আমেরিকা পার্ল হারবারকে ভোলেনি এবং আমেরিকা ৯/১১-কেও ভুলবে না।’’
এ দিন সকালে গ্রাউন্ড জ়িরোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বাইডেন এবং ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিন্টন, প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা এবং প্রাক্তন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন-সহ অনেকেই। ৮টা ৪৬ মিনিটে প্রথম বিমান হানা হয় টুইন টাওয়ারে। এই মুহূর্তটিকে স্মরণ করে নীরবতা পালন করেন বাইডেন, ওবামা, ক্লিন্টন-সহ উপস্থিত জনতা।
গ্রাউন্ড জ়িরো থেকে বাইডেন যান পেনসিলভেনিয়ার শ্যাঙ্কসভিলে। সেখানে পুষ্পস্তবক দিয়ে নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানান আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাজানো হয় ঘণ্টা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলেই এই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। এ দিন শ্যাঙ্কসভিলে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। সেখান থেকে বাইডেন যান পেন্টাগনে।
৯/১১-র ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুঃখের দিন।’’ আফগানিস্তানের জটিল পরিস্থিতির জন্য বাইডেনকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প।