—প্রতীকী ছবি।
বেশ কয়েক মাস ধরে ছক কষে তিন শিশুপুত্রকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে খুন করেছেন আমেরিকার এক যুবক। এই অভিযোগে ওহায়োর ওই বাসিন্দাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম অভিযুক্তের স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও এই হামলায় দম্পতির মেয়ে আহত কি না, তা জানায়নি পুলিশ।
শিশুসন্তানদের খুনের অভিযোগে ওহায়োর মনরো টাউনশিপের বাসিন্দা ৩২ বছরের চ্যাড ডুয়ারম্যানকে (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী) বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্লারমন্ট কাউন্টি শেরিফের অফিসের তরফে শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ পুলিশে খবর দেন অভিযুক্তের স্ত্রী। ঘটনাস্থলের পৌঁছে চ্যাডের বাড়ি থেকে দম্পতির তিন, চার এবং সাত বছরের পুত্রের দেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আদালতে শুনানিতে পুলিশের দাবি, নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন চ্যাড। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্তানদের খুনের জন্য তাদের এক লাইনে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। এর পর একে একে তিন শিশুপুত্রের দিকে রাইফেল তাক করে গুলি করতে থাকেন। আতঙ্কে চ্যাডের এক পুত্র পালানোর চেষ্টা করে। তবে তার পিছুধাওয়া করে বাড়িতে টেনে এনে তকেও গুলি করে মারেন চ্যাড। তাঁকে বাধা দিলে স্ত্রীর হাতে গুলি করেন অভিযুক্ত। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দম্পতির মেয়ে চিৎকার করতে থাকে, ‘‘সবাইকে মেরে ফেলছে বাবা!’’ নাবালিকার চিৎকারে পুলিশে খবর দেন এক ব্যক্তি।
ওহায়ো পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ অভিযুক্তের স্ত্রী এবং ওই ব্যক্তির থেকে খবর পেয়ে চ্যাডের বাড়িতে পৌঁছন তারা। আদালতে শুনানির সময় ক্লারমন্ট কাউন্টির সরকারি কৌঁসুলির মার্ক টেকুল্ভের দাবি, ‘‘এ রকম ঘ়ৃণ্য অপরাধের কথা কখনও শুনিনি।’’ তদন্তকারীদের দাবি, আকস্মিক ভাবে নয়, সন্তানদের খুনের জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন চ্যাড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy