এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেলেন আমেরিকান কবি লুইস গ্লিক। ফাইল চিত্র।
২০২০-র সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন আমেরিকান কবি লুইস গ্লিক। জন্ম ১৯৪৩। এই পুরস্কারের পিছনে রয়েছে তাঁর কাব্য এককের সঙ্গে বিশ্বজনীনতার গভীর সংযোগ, এমনটাই জানানো হয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে।
এ বছর গ্লাক যাঁদের পিছনে ফেলে এই পুরস্কার জিতে নিলেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কানাডিয়ান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড এবং জাপানি লেখক হারুকি মুরাকামির মতো ব্যক্তিত্ব। গ্লিক এর আগে পেয়েছেন পুলিৎজার (১৯৯৩) , ইউ এস পোয়েট লরিয়েট (২০০৩-২০০৪) ইত্যাদি পুরস্কার।
লুইস এলিজাবেথ গ্লিকের জন্ম নিউ ইয়র্ক শহরে, বেড়ে ওঠা নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে। গ্লিকের কবিতায় উঠে এসেছে মানব জীবনের বিভিন্ন সঙ্কট, অভিপ্সা এবং অবশ্যই প্রকৃতি। নিঃসঙ্গতা এবং বিষণ্ণতা তাঁর কবিতার অন্যতম লক্ষণ। আলোচকরা তাঁর কবিতায় খঁজে পেয়েছেন আত্মজৈবনিকতার সঙ্গে ধ্রুপদী মিথের গূঢ় আন্তর্সম্পর্ক। তাঁর রচনায় অনেকেই রাইনের মারিয়া রিলকে এবং এমিলি ডিকিনসনের উত্তরাধিকারকে খুঁজে পান। সেদিক থেকে দেখলে গ্লিক, পশ্চিমি বিশ্বের মূল ধারার কবিতা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখেননি বলে চলে।
আরও পড়ুন: আমার বন্ধু রজার
১৯৬৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ফার্স্টবর্ন’ প্রকশিত হয়। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ ‘ফেথফুল অ্যান্ড ভার্চুয়াস নাইট’। ২০১২-এ তাঁর কাব্য সংকলন ‘পোয়েমস ১৯৬২-২০১২’ লস এঞ্জেলেস টাইমস বুক প্রাইজ প্রাপ্ত হয়। এর বাইরে রয়েছে তাঁর কবিতা সংক্রান্ত প্রবন্ধের বই ‘প্রুফস অ্যান্ড থিয়োরিজ’, ‘আমেরিকান অরিজিন্যালিটি’। নিজেকে কোনও বিশেষ অভিধায় দেখতে চান না গ্লাক। এমনকি নিজেকে ‘ফেমিনিস্ট’ বলতেও তিনি নারাজ। বরং জীবন ও মৃত্যুর শ্বাশ্বত রহস্য আর প্রকৃতির অনিঃশেষ রহস্যময়তাকেই তিনি খুঁজে চলেন তাঁর কাব্যে।
আরও পড়ুন: হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের খোঁজ দিয়ে নোবেল জয়
৭৭ বছর বয়সি গ্লিক যুক্ত রয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে। এই মুহূর্তে তিনি ম্যাচুসেটসের কেম্ব্রিজ শহরের বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy