Advertisement
E-Paper

‘ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চাই না আমরা’, আবার বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো

ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিবিড় করার বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মঙ্গলবার কানাডার রাজধানী অটোয়ায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘‘বিষয়টি আর আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৩৯
An image of Justin Trudeau

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।

খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দু’সপ্তাহের মাথাতেই সুর নরম করে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটতে চান না তিনি। ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিবিড় করার বার্তা দিয়ে তিনি মঙ্গলবার কানাডার রাজধানী অটোয়ায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘বিষয়টি আর আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না।’’

ট্রুডো মঙ্গলবার নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষেও সওয়াল করলেন। প্রসঙ্গত, খলিস্তান-বিতর্কে ভারতের সঙ্গে বিবাদ মেটানোর বিষয়ে গত শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে ভারত আত্মপ্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত এখন উদীয়মান শক্তি। কানাডা চায় তাদের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর আমাদের বৈঠকও হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। কানাডার তদন্তকারী সংস্থাগুলি এ বিষয়ে আরও বিশদে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন তাঁর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও কথা হয়েছে।

ট্রুডোর ওই বিবৃতির পরে কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি ‘র’-এর কানাডার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাতেন। ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় পরের মঙ্গলবার মোদী সরকার কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত। পরবর্তী পদক্ষেপে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যার প্রতিক্রিয়া ট্রুডো সরকার ভারতে অবস্থানকারী কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে ‘বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কতা’ জারি করে। এই আবহে নয়াদিল্লির সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্ক’ চেয়ে ট্রুডোর ‘নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সাফল্য’ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Justin Trudeau PM Narendra Modi India canada Khalistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy