নিয়ন্ত্রণরখায় (এলওসি) গুলির লড়াই বদলে যেতে পারে পুরোদস্তুর যুদ্ধে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে এমনটাই আশঙ্কা করছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ‘প্রধানমন্ত্রী’ চৌধরি আনোয়ার-উল হকের সরকার। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুতের নির্দেশ দিয়েছে মুজফ্ফরাবাদ।
আরও পড়ুন:
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ে পাক জঙ্গিদের হামলায় ২৫ জন পর্যটক-সহ ২৬ জনের মৃত্যুর পরেই এলওসিতে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। শুক্রবার পর্যন্ত টানা আট দিন ধরে গুলির লড়াই চলছে নিয়ন্ত্রণরেখায়। মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সেনার ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই পাক সেনার ডিজিএমও-র সঙ্গে হটলাইনে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়ে আলোচনা করলেও তার প্রভাব দেখা যায়নি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আইনসভার ১৩টি কেন্দ্রের অবস্থান নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁষে। প্রথম ধাপে সেই এলাকার বাসিন্দাদের খাবার মজুতের নির্দেশ দিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর সরকার।
অতীতে দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পাক ফৌজ সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের সময় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল বা হালকা মেশিনগান ব্যবহার করলেও পরবর্তী পর্যায়ে মাঝারি ও ভারী মেশিনগান, মর্টার এমনকি, কামানের গোলা ছোড়ে। সামরিক পরিভাষায় এই কৌশলের নম ‘ক্যালিবার কনভার্সন’। একই কৌশলে জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। এর ফলে সাধারণ নাগরিকদের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ভারতীয় সেনার তরফে তেমন পদক্ষেপের আশঙ্কাতেই এলওসি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।