প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে আগামী বৃহস্পতিবার তিন দিনের ভারত সফরে আসছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। এই দুই ক্ষেত্র ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অপ্রচলিত শক্তি, জলসম্পদ, শিক্ষা, রেল-প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রগুলিতেও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হবে বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তানের মতো আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন নরেন্দ্র মোদী এবং ম্যার্কেল।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পরেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল জার্মানি। তারা বলেছিল, এই সিদ্ধান্ত একান্ত ভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ এবং কাশ্মীর নিয়ে সমাধান-সূত্র খোঁজাটা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ওই বিবৃতি কোনও রকম অনুবাদ না-করে শুধুমাত্র জার্মান ভাষায় দেওয়া হয়েছিল বলে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খুব বেশি আলোচনা হয়নি বলে জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক সূত্র।
তবে সম্প্রতি ভারতের জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ কথাও জানানো হয়েছে যে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী তারা। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ম্যার্কেলের আসন্ন সফরে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপগুলি বিশদে তুলে ধরবেন মোদী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দেশকে কৌশলগত ভাবে পাশে রাখাটা সাউথ ব্লকের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।
গত জুন মাসে জাপানের ওসাকায় জি-২০-র শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী ও ম্যার্কেল। গত দু’দশক ধরে ভারত একটি বিশেষ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্র, যার সঙ্গে জার্মানির সংলাপ-ব্যবস্থা (ডায়লগ মেকানিজম) রয়েছে। ইউরোপের মধ্যে জার্মানির সঙ্গে সব চেয়ে বেশি বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে ভারতের। এই মুহূর্তে সব দিক থেকেই ম্যার্কেলের সফরটি ভারতের বিদেশনীতির জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।