Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Anger

ভীষণ রেগে? সবকিছু ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা করছে? চলে আসুন এই ঘরে

ঢুকেই ঘরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্রের উপরে উন্মাদের মতো চালাতে লাগলেন ব্যাট। ঘরে থাকা পাত্র, কম্পিউটার, টেলিফোন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।

অ্যাঙরি রুমে গেলে আপনিও পাবেন ভাংচুর করার অধিকার। ছবি সংগৃহীত।

অ্যাঙরি রুমে গেলে আপনিও পাবেন ভাংচুর করার অধিকার। ছবি সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৪৪
Share: Save:

চিনের বেজিং শহরে থাকেন কিউ সিউ। ১৬ বছরের এই চিনা ছাত্রী হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন। কিছুদিন আগে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি গেলেন ‘অ্যাঙ্গার রুমে’। সেখানে ১৫৮ ইউয়ান দিলেন তিনি। পরলেন হেলমেট, হাতে তুলে নিলেন একটি বেসবলের ব্যাট। তারপর ঢুকে গেলেন একটি ঘরে। ঢুকেই ঘরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্রের উপরে উন্মাদের মতো চালাতে লাগলেন ব্যাট। ঘরে থাকা পাত্র, কম্পিউটার, টেলিফোন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। আধ ঘণ্টা পর ঘেমে নেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ব্যাট রেখে চলে গেলেন তিনি।

উপরের ঘটনা শুনে আপনি অবাক হতে পারেন। কিন্তু চিনের বেজিং শহরের মানুষের কাছে বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। সেই শহরে এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’ বেশ জনপ্রিয়। হাতুড়ি, ব্যাট দিয়ে জড় বস্তুর উপর নির্বিচারে আঘাত করে দৈনন্দিন জীবনের হতাশা দূর করতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে প্রায়শই আসেন কমবয়সীরা।

‘অ্যাঙ্গার রুম’ থেকে বেরিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কিউ বললেন, ‘‘বোতলের উপর ব্যাট চালিয়ে যখন সে গুলিকে ভেঙে যেতে দেখি তখন আমার দারুণ একটা অনুভূতি হয়।’’ কিউয়ের মতো ৩২ বছরের লিউ চাও প্রায়শই এখানে আসেন পয়সার বিনিময়ে জিনিস ভেঙে একটু মানসিক আরাম পেতে।

আরও পড়ুন: ‘গোয়েন্দা’ জাদেজাকে দেখে হেসে কুপোকাত ভাজ্জি-যুবরাজ

সেপ্টেম্বরে এই সংস্থা খুলেছেন জিং মেঙ ও তাঁর বন্ধুরা। তার পর থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৬০০ জন আসেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মেঙ বলেছেন, ‘‘কমবয়সীরা মূলত তাঁর সংস্থার পরিষেবা নেন। বড় শহরের জীবনযাত্রার চাপ অত্যাধিক। চাপ থেকে মুক্তির জন্যই এই পথ বেছে নিচ্ছেন যুবক যুবতীরা।’’

যদিও আমেরিকার-সহ প্রথম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের সংস্থার রমরমা চলছে অনেকদিন ধরেই।

আরও পড়ুন: জাতি-বিদ্বেষী কথা, পদ গেল নোবেলজয়ীর

(আমেরিকা থেকে চিন, ব্রিকস থেকে সার্ক- সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Angry Room Beijing China Beijing Angry Room
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE