বাংলাদেশ সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
অশান্তি ঠেকাতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগে মোতায়েন হচ্ছে সেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মঙ্গলবার জানিয়েছে, অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নির্বাচন কমিশন ও অসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে বুধবার থেকেই পথে নামবে সেনা। ১০ তারিখ পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে সেনা।
আগামী ৭ জানুয়ারি (রবিবার) বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। বিরোধী বিএনপি এবং বামজোটের ভোট বয়কটের ডাক ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘সাজানো নির্বাচন’ করার অভিযোগে তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগও জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে অশান্তি ঠেকানো হাসিনা সরকারে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই এই সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।
স্থলসেনার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনীর টহলদার জলযান মোতায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পার্বত্য চট্টগ্রাম-সহ কয়েকটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভোটকর্মীদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা রয়েছে, নির্বাচনের দিন ভোট বয়কটকারী বিরোধীরা হামলা চালাতে পারে।’’
বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের মোট ৬২টি জেলাতেই সেনা মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশ বাহিনীর এক লক্ষ ৮০ সদস্যের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বাহিনীর লক্ষাধিক অফিসার এবং জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় বিজিবির সঙ্গে যৌথ ভাবে সেনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবে বলেও বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy