Advertisement
১৯ মে ২০২৪
International news

লন্ডনে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের বাইরেই নওয়াজের উপরে হামলা

নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে তড়িঘড়ি অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে ঢুকে পড়েন নওয়াজ। কোনও ক্ষতি হয়নি তাঁর।

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ১৭:৩৪
Share: Save:

অ্যাভেনফিল্ড হাউস দুর্নীতি কাণ্ডে রায় ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই লন্ডনে আক্রান্ত হলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। হামলা চালালেন কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। সোমবার ওই হামলার সময় নওয়াজ তাঁর নিজের অ্যাপার্টমেন্টের নীচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে তড়িঘড়ি অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে ঢুকে পড়েন নওয়াজ। কোনও ক্ষতি হয়নি তাঁর।

স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে লন্ডন হাসপাতালে ভর্তি। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন নওয়াজও। তার মধ্যেই পাক আদালত অ্যাভেনফিল্ড হাউস দুর্নীতি কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করেছে নওয়াজকে। এর পরই তাঁর উপর হামলা হয়।

লন্ডনে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের সামনে জড়ো হন কয়েকজন যুবক। তাঁরাই প্রথমে নওয়াজকে দেখে খারাপ কথা বলতে থাকেন। নওয়াজ ভিতরে ঢুকে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা অ্যাপার্টমেন্টের দরজা বন্ধ করে দেন। এক নিরাপত্তারক্ষীর দিকে তাক করে ট্রলি ছোড়েন এক যুবক। তারপর বন্ধ দরজায় ডিম ছোড়েন। লাথি মেরে দরজা খোলার চেষ্টা করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির দায়ে ১০ বছর জেল নওয়াজের, কন্যার ৭ বছর

৬ জুলাই দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরে কারাদণ্ড হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের। তাঁর কন্যা মরিয়মকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুর্নীতির চারটি মামলা ছিল শরিফের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লন্ডনের অভিজাত অ্যাভেনফিল্ড হাউসে যে চারটি ফ্ল্যাট আছে তাঁর নামে, তার দাম তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন।

শুক্রবারই লাহৌরে পৌঁছনোর কথা নওয়াজ এবং তাঁর কন্যা মরিয়মের। অ্যাভেনফিল্ড হাউস দুর্নীতি কাণ্ডে লন্ডন থেকে ওই দিনই সন্ধ্যায় লাহৌরে পৌঁছে আত্মসমর্পণ করার কথা তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE