৩২ নম্বর, ধানমন্ডি। বাংলাদেশে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাড়ির একাংশ। এ বার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার সাজা ঘোষণাকে ঘিরে ফের একবার সেই বাড়ি ভাঙতে উদ্যত হল জনতা।
সোমবার সকাল থেকে ধানমন্ডির মিরপুর রোডের সেই বাড়ির বাইরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। বাড়ি ভাঙতে দু’টি বুলডোজ়ারও নিয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে মুহূর্তে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও সেনা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু হয় লাঠিচার্জ। ছোড়া হয় সাউন্ড গ্রেনেড। কিন্তু তাতেও পিছু হটেনি জনতা। শুরুতে দূরে সরে গেলেও বেলা ২টোর পর থেকে দু’টি দলে ভাগ হয়ে ফের ওই চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তাঁরা। একদল যুবককে বুলডোজ়ারের উপরে উঠে আওয়ামী লীগ-বিরোধী নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। সেনা-পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথরও ছুড়তে শুরু করে দেন অনেকে। তবে সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে পুলিশপ্রশাসন। ডিএমপি-র ধানমন্ডির অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে বলেছেন, ‘‘আমরা কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেব না।’’
আরও পড়ুন:
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের আবহে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ওই বাড়ির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমবার হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে ঘিরে ফের ওই বাড়ি ভাঙতে উদ্যত হয় জনতা। প্রসঙ্গত, সোমবার হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার আদালত। যদিও সেই রায় মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ। দেশজোড়া বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, ‘‘এই আদালত অবৈধ। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে। আগামিকাল সারা বাংলাদেশে সকাল-সন্ধ্যা শাটডাউন হবে। যত ক্ষণ না অবৈধ ইউনূস সরকার পদত্যাগ করবে, আমাদের সংগ্রাম তীব্র হবে।’’