Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International news

সু চি-কে দেওয়া খেতাব ফিরিয়ে নিল অক্সফোর্ড

২৫ অগস্টের পর থেকে রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে অন্তত আট লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম ঢুকেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের অবস্থা ভয়াবহ। রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে চলতে থাকা নির্যাতন নিয়েও একটি নিন্দাসূচক শব্দও শোনা যায়নি সু চি-র মুখে।

সু চি কে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মান ফিরিয়ে নিল অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল। ছবি: রয়টার্স।

সু চি কে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মান ফিরিয়ে নিল অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ১৫:০৭
Share: Save:

নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত মায়ানমারের শাসক দলের নেত্রী আউং সান সু চি-কে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মান ফিরিয়ে নিল ব্রিটিশ সিটি কাউন্সিল। ১৯৯৭ সালে গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ ওই সম্মান পেয়েছিলেন সরকারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি। গত সোমবার অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, তিনি আর ওই সম্মানের উপযুক্ত নন। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন নিয়ে নীরব ভূমিকার কারণেই ওই সম্মান হারিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আশ্বাস মায়ানমারের

বিবিসি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ অগস্টের পর থেকে রাখাইনে মায়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে অন্তত আট লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিম ঢুকেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের অবস্থা ভয়াবহ। রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপরে চলতে থাকা নির্যাতন নিয়েও একটি নিন্দাসূচক শব্দও শোনা যায়নি সু চি-র মুখে। অথচ রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের উপর হওয়া নির্যাতনকে বলা হয়েছিল ‘জাতি নিধনের ভয়ঙ্কর উদাহরণ’। কূটনীতিকদের দাবি, সু চি সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে সাহায্য করেননি। বরং এককালের লড়াকু নেত্রী থেকে বর্তমানে রাষ্ট্রনেতা হয়ে যাওয়া সু চি-কে দেখা গিয়েছে ভিন্ন ভূমিকায়।

আরও পড়ুন: সব রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসবাদী বলা হয়নি, সুর বদলেও আপত্তি বহাল রাখল কেন্দ্র

অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউ কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন সু চি। তার স্বামী মাইকেল অ্যারিস এক সময় ওই কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন। সু চি গৃহবন্দী হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয় অক্সফোর্ড। ওই ডিগ্রি তিনি গ্রহণ করেন মুক্তি পাওয়ার পর ২০১২ সালে। গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি।

অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের নেতা বব প্রাইস এই সম্মান প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই সিদ্ধান্ত একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপ।’’ গত সপ্তাহেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট হিউ কলেজ থেকে সু চির প্রতিকৃতিও সরিয়ে নেয়া হয়। চলতি মাসেই এশিয়া সফরে আসতে পারেন যুবরাজ চার্লস। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত-সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের কথা রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, সেই তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে মায়ানমার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE