কাবুলের অভিজাত শেরপুর মহল্লায় লাদেনের উত্তরসূরি জওয়াহিরির লুকিয়ে থাকার খবর হক্কানি-বিরোধী তালিবান গোষ্ঠীই পেন্টাগনকে দিয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। আল কায়দার শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার নেপথ্যে পাক তালিবানের একাংশের হাত থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। শুধু আল কায়দার শীর্ষনেতা আয়মান আল জওয়াহিরি নন, গত রবিবার কাবুলে আমেরিকার ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হক্কানির পরিবারের কয়েক জন সদস্যও! শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন, তাজিকিস্তানের আফগান রাষ্ট্রদূত মহম্মদ জাহির আকবর। পূর্বতন আশরফ গনি সরকারের আমলে নিযুক্ত এই আফগান কূটনীতিক বলেন, ‘‘কাবুল থেকে আমাদের কাছে আসা তথ্য বলছে, আমেরিকার ড্রোন হানায় হক্কানি পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়েছে। ওই বাড়িটি হক্কানিদেরই ছিল।’’ ঘটনার পরে হক্কানিদের সকলেই কাবুল ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলেও দাবি করেন জাহির। জাহিরের শুক্রবারের বক্তব্যের পর তালিবানের অন্তর্দ্বন্দ্বের দাবি আরও জোরাল হল। কারণ, তালিবানের অন্দরের সূত্র ছাড়া কাবুলের নির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে বার করে আমেরিকার হেলফায়ার আর৯এক্স ক্ষেপণাস্ত্রের পক্ষে কার্যত অসম্ভব ছিল।