চকোলেটের টানে আপনি কতদূর যাবেন?
ছেলেটির পকেটে ছিল ১০০টি বাংলাদেশি টাকা। তা নিয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে সে চলে এসেছিল ত্রিপুরার কলমচোরা গ্রামের একটি দোকানে। লম্বা পথে একটি নদী সাঁতরে পার হয়েছে সে। ঝুঁকি নিয়ে, সীমান্তরক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে টপকেছে কাঁটাতারের বেড়াও। শুধুই তার প্রিয় চকোলেট কিনবে বলে। যা তার নিজের দেশ বাংলাদেশে পাওয়া যায় না, মেলে শুধু ভারতেই।
ছেলেটির নাম এমান হোসেন। কিন্তু চকোলেটের টানে এমানের অভিযান থমকে যায় এ পারে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। সীমান্তরক্ষীদের সে জানিয়েছিল, চকোলেট কেনা ছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তার। কিন্তু সে কথায় বিশ্বাস করেনি বিএসএফ। এমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। পরে আদালতে তোলা হলে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় তাকে। বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরনোর মামলাও দায়ের করা হয় বাংলাদেশী কিশোরের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত এমানের ভারতে আসার আর কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে পুলিশ এ-কথাও জানিয়েছে যে, এমানের তল্লাশি নিয়ে বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০০ টাকা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। তার কাছে বেআইনি কিছুই ছিল না। যথাযথ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করার অপরাধেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
অবশ্য বাংলাদেশ সীমান্তে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে। খাবার কিনতে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাংলাদেশের মানুষের ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। অনেক সময় এ পারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতেও কাঁটাতার গলে চলে আসেন ও পারের মানুষ।
এমান বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কাছে সোনামুরায় ধরা পড়ে গত ১৩ এপ্রিল। তাকে আবার ২৮ তারিখ আদালতে তোলা হবে। সোনামুড়ার এসডিপিও জানিয়েছেন, এমানের ভবিষ্যৎ কী, তা আদালতই ঠিক করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy