Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

কী ছিল কী হল

এক দিনের বিপর্যয় কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ। পাশাপাশি তছনছ হয়ে গিয়েছে দেশটার ঐতিহ্যবাহী বহু নিদর্শন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট জুড়ে এখন সেই ধ্বংসের ছবি। ধরহরা মিনার থেকে শুরু করে দরবার স্কোয়ার— প্রকৃতি থাবা বসিয়েছে ইউনেস্কোর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সৌধে। বসন্তপুর, হনুমান ধোকা, পাটান এবং ভক্তপুরের দরবার স্কোয়ারে ফিরে এসেছে ধ্বংসের স্মৃতি। ১৯৩৪ সালের ভূকম্পেও এই এলাকাগুলি ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

কী ছিল, কী হল। এক দিনের ব্যবধানে বসন্তপুর দরবার স্কোয়ার

কী ছিল, কী হল। এক দিনের ব্যবধানে বসন্তপুর দরবার স্কোয়ার

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৪
Share: Save:

এক দিনের বিপর্যয় কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ। পাশাপাশি তছনছ হয়ে গিয়েছে দেশটার ঐতিহ্যবাহী বহু নিদর্শন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট জুড়ে এখন সেই ধ্বংসের ছবি। ধরহরা মিনার থেকে শুরু করে দরবার স্কোয়ার— প্রকৃতি থাবা বসিয়েছে ইউনেস্কোর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সৌধে। বসন্তপুর, হনুমান ধোকা, পাটান এবং ভক্তপুরের দরবার স্কোয়ারে ফিরে এসেছে ধ্বংসের স্মৃতি। ১৯৩৪ সালের ভূকম্পেও এই এলাকাগুলি ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পাটানের একটি সংগ্রহশালার অসংখ্য প্রত্নসামগ্রী ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। উপরের পাশাপাশি ছবিদু’টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এক দিনের ব্যবধানে বসন্তপুর দরবার স্কোয়ার কী দশায় পৌঁছেছে। রোষ থেকে রক্ষা পায়নি বসন্তপুর প্রাসাদও। ১৯০৮ সালে নির্মিত কাঠমান্ডুর এই প্রাসাদটি ইউরোপীয় ধাঁচে গড়া। দরবার স্কোয়ার জুড়ে এক সময় মল্ল শাহ রাজাদের প্রাসাদ ছিল। স্থানীয় এক সাংবাদিক আফসোস করছেন, ‘‘দরবার স্কোয়ার, ধরহরা মিনার— এগুলো আমাদের চেনায়। নেপালের সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতি বলতে লোকে এগুলোই বোঝে। তার কিছু আর অবশিষ্ট নেই প্রায়।’’ গুঁড়িয়ে গিয়েছে কাঠমান্ডুর কালমোচন মন্দির। ১৮৭৩ সালের তৈরি এই মন্দিরে মুঘল আমলের ছাপ খুঁজে পাওয়া যেত। ভাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঠমান্ডুর বোধনাথ স্তূপ। নেপালের বড় স্তূপগুলির এটি অন্যতম। বাদ পড়েনি স্বয়ম্ভূনাথ স্তূপও। ভূমিকম্প এর পুরো কাঠামোটাই নাড়িয়ে দিয়েছে। ওই স্তূপের আশপাশে আরও মন্দির, দোকান, পুরনো দিনের বাড়ি ১৫ সেকেন্ডে ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। ভূমিকম্প এখানে নতুন কিছু নয়। ১৯৯০ সালেও কেঁপে উঠেছিল এই অঞ্চল। তবে সে বার কোনও ক্ষতি হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE