Advertisement
E-Paper

কাজ়াখস্তানে ভেঙে পড়ল বিমান, দুর্ঘটনায় মৃত ১৫

‘দ্য ফোকার ১০০’ বিমানটি চালায় বেক এয়ার সংস্থা। দেশের উড়ান সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক কমিটি জানিয়েছে, তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত বেক এয়ার চালিত সমস্ত উড়ান স্থগিত রাখা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬
ধ্বংসস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। কাজ়াখস্তানের আলমাটিতে। এপি

ধ্বংসস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। কাজ়াখস্তানের আলমাটিতে। এপি

নির্ধারিত সূচি মেনে ৯৮ জন যাত্রী নিয়ে সবে উড়তে শুরু করেছিল নুর-সুলতানগামী বিমানটি। কিছুটা ওঠার পরেই রানওয়ে সংলগ্ন একটি বাড়ির উপরে ভেঙে পড়ে সেটি। আজ সকাল সাতটা পাঁচ মিনিট নাগাদ কাজ়াখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমাটির কাছে এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের। আহত ৬৬ জন।

‘দ্য ফোকার ১০০’ বিমানটি চালায় বেক এয়ার সংস্থা। দেশের উড়ান সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক কমিটি জানিয়েছে, তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত বেক এয়ার চালিত সমস্ত উড়ান স্থগিত রাখা হচ্ছে।

আজ সকালে উড়ান ছাড়ার পরেই অতর্কিতে নীচে নামতে শুরু করে বিমানটি। প্রথমে একটি সিমেন্টের কাঠামোয় ধাক্কার পরে একটি দ্বিতল আবাসনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। ঘটনার পরেই বিমানটির সামনে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙেছে বিমানটির কাঠামোও। অবশ্য দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বরাতজোরে বেঁচে যাওয়া এক মহিলা যাত্রী জানিয়েছেন, বিমানটি নীচের দিকে নামার আগে ভয়াবহ আওয়াজ হয়। তাঁর কথায়, ‘‘এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। বিমানের ভিতরে তখন সকলের মধ্যেই উৎকণ্ঠা। অনেকে তো আর্তনাদ জুড়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাঁদতে শুরু করেছিল।’’

দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। আহত হন ৬৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জনকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উড়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ বিমানটিতে ৯৩ জন যাত্রী ও পাঁচ জন বিমানকর্মী ছিলেন।

কাজ়াখস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, উড়ান পরিচালনা এবং নিরাপত্তা বিধি মানা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার সময়ে আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ১৯৯৬ সালে তৈরি। চলতি বছরের মে মাসে শেষ বার উড়ানটি ‘ফিট সার্টিফিকেট’ পেয়েছিল বলে সরকারি সূত্রে খবর।

আজ দুর্ঘটনায় রক্ষা পেয়েছেন আসলান নাজ়ারালিয়েভ নামে এক ব্যবসায়ীও। তিনি জানিয়েছেন, বিমানটি ওড়ার দু’মিনিট পরেই সময়েই কাঁপতে শুরু করে। কিছু ক্ষণ পরেই বিমানটি নীচের দিকে নামতে শুরু করে। মনে হচ্ছিল নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন বিমানচালক। এ দিন দুর্ঘটনার পরেই রানওয়ে সংলগ্ন ঘটনাস্থলটি ঘিরে ফেলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বন্ধ রাখা হয়নি বিমানবন্দর। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই আজ অন্য বিমানগুলি চলাচল করেছে।

আজকের দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কাজ়াখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার জন্য যারা দায়ী আইন মোতাবেক তাদের কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আসকার মামিনকে তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ করার কথাও জানিয়েছেন তোকায়েভ। আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামিকাল, শনিবার জাতীয় শোক দিবস হিসেবেও ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট।

Kazakhstan Plane Crash Almaty International Airport
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy