রাত পোহালেই সোমবার। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজ়া-শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে রাষ্ট্রপুঞ্জে। তার আগে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানা গিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতাবস্থাই ছিল ছিল আলোচনার মূল বিষয়। তবে বিশেষ গুরুত্ব ছিল গাজ়ার উপরে।
পুতিনের উদ্যোগেই এই আলোচনা হয়েছে। নেতানিয়াহুর দফতর জানিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়। ক্রেমলিন সূত্রের খবর, সংঘর্ষবিরতির পরে গাজ়ার অবস্থার পাশাপাশি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, সিরিয়ার স্থিতাবস্থা ইত্যাদি নিয়েও কথা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের গাজ়া-শান্তি প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপুঞ্জে পেশ করে রাশিয়া। ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজ়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ফলে গাজ়ার নিয়ন্ত্রণ ইজ়রায়েলের হাতেই থাকবে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের পাল্টা প্রস্তাবে একমাত্র রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের কথাবলা হয়েছে। তবে তা করতে গিয়ে গাজ়ার ভৌগোলিক ও জনবসতিগত কোনও পরিবর্তনকে রাশিয়া সমর্থন করবে না। রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে যুদ্ধবিরতিকে সমর্থনের পাশাপাশি গাজায় দ্বি-রাষ্ট্রের ভিত্তিতে সমাধানের উপরে গুরুত্ব দিয়েছে রাশিয়া।
যদিও আমেরিকান বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো আশাবাদী, রাষ্ট্রপুঞ্জে ট্রাম্পের প্রস্তাবই গৃহীত হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আগে পুতিন-নেতানিয়াহুর কথোপকথন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।
এ দিকে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেছেন, “আমরা যুদ্ধবন্দি বিনিময় পুনরায় শুরু হবে বলে আশাবাদী। বহু বৈঠক, আলোচনা চলছে।” এ বার বন্দি বিনিময়ের ফলে রাশিয়ার হাতে বন্দি অন্তত ১২০০ জন ইউক্রেনে ফিরতে পারবেন বলেও দাবি জ়েলেনস্কির। মস্কো অবশ্য এই নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)