গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
কাশ্মীরকে ভারত ও পাকিস্তানের ঘরোয়া সমস্যা বলেই মানছেন। তবে সেখানে মানবাধিকারকে কী ভাবে কতটা মর্যাদা দেওয়া হবে, ভারতীয় উপমহাদেশে উত্তেজনা নিরসনে কী কী চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, সেটাও জানতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সব তিনি শুনতে চান খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকেই। আগামী ২৬ অগস্ট, ফ্রান্সে জি-৭ জোটের দেশের শীর্ষ সম্মেলেনের সময় পার্শ্ববৈঠকে বসার কথা ট্রাম্প ও মোদীর। সেখানেই উঠতে পারে কাশ্মীর প্রসঙ্গ।শনিবার এ কথা বলেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা।
মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্তার কথায়, ‘‘আশা করছি, এ বার আলোচনায় (ট্রাম্প ও মোদীর মধ্যে বৈঠক) ভারত ও পাকিস্তানের ইস্যুটি উঠবে। বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ হিসাবে কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষা ও ভারতীয় উপমহাদেশে অস্থিরতা নিরসনে কী কী ভাবনা রয়েছে, তা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই শুনতে চাইতে পারেন প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প)।’’
গত মাসের গোড়ার দিকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে আলাদা দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করে মোদী সরকার। তার পর ইন্টারনেট, টেলিফোন-সহ যোগাযোগব্যবস্থাকে নিরাপত্তার কারণে সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে অবশ্য তা চালুও হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিকতায় ফিরে আসছে কাশ্মীর।
ট্রাম্প প্রশাসনের পদস্থ কর্তাটি কবুল করেছেন, ‘‘কাশ্মীর যে ভারত ও পাকিস্তানের ঘরোয়া সমস্যা, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।’’
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে ভারসাম্যের অঙ্ক ট্রাম্পের
আরও পড়ুন- বিরোধীদের নিয়ে শ্রীনগর অভিমুখে রাহুল, আটকাতে তৈরি প্রশাসনও
তবে তিনি এও বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট চান, ওই সমস্যায় জড়িত সব পক্ষই আলোচনায় বসুক। কাশ্মীরে যোগাযোগব্যবস্থা ও যাতায়াতের উপর থেকে ভারত সব রকমের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক। আর কাশ্মীরে বিক্ষোভের ক্ষেত্রেও নিজেকে সংযত রাখুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy