মৃতা মেয়ের হৃদপিণ্ডের স্পন্দন শুনতে শুনতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিল
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইস্কনসিন থেকে লুইজিয়ানা প্রদেশের ব্যাটন রাউজ, দূরত্বটা ২২৫৪ কিলোমিটার। আর এই গোটা দূরত্বটা সাইকেলে পাড়ি দিলেন বিল কোনার। উদ্দেশ্য মৃতা মেয়ে অ্যাবির হৃদস্পন্দন শোনা! তার সঙ্গেই জনসচেতনতা বাড়ানোও লক্ষ্য।
গত জানুয়ারি মাসে কানকুনের একটি রিসর্টের পুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া অ্যাবি এবং তাঁর ভাই অস্টিন। কিন্তু অস্টিন বেঁচে গেলেও, ট্রমাটিক ব্রেইন ইনজুরিতে ভুগতে থাকা অ্যাবিকে বাঁচানো যায়নি। মাত্র ২০ বছর বয়সে মারা যান তিনি।
১৭ বছর বয়সেই মৃত্যুর পর অঙ্গদানের অঙ্গীকার করেন অ্যাবি। সেই সূত্রেই মৃত্যুর পর অ্যাবির হৃদপিণ্ড দান করা হয় বছর তেইশের লুমন্থ জ্যাক নামে এক ব্যক্তিকে।
আরও পড়ুন: সাধারণ টিকিট কেটেও প্রথম শ্রেণিতে যাত্রা করলেন এই মহিলা। কিন্তু কী করে?
ভাইরাল ইনফেকশনের দরুণ মারাত্মক হার্টের অসুখে ভুগছিলেন লুমন্থ। একবার হার্ট অ্যাটাকও হয় তার। ডাক্তাররা তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেন। তখনই অ্যাবির হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয় জ্যাকের দেহে।
অ্যাবির মৃত্যুর পর অঙ্গদান নিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ৪০০০ কিলোমিটার সাইকেলে পাড়ি দিতে বের হন অকালে মেয়েকে হারানো বিল কোনার। আর এই যাত্রা পথেই তাঁর সাথে দেখা হয় লুমন্থ জ্যাকের।
আরও পড়ুন: বাড়িতে আগুন লাগার পর এই ‘প্রভুভক্ত’ কুকুর যা করল দেখলে চমকে যাবেন
জ্যাকের মধ্যে প্রতিস্থাপিত মৃতা মেয়ের হৃদপিণ্ডের স্পন্দন শুনতে শুনতে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বিলকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই আবেগঘন মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়ে যায় তা।
দেখুন সেই ভিডিও:
Two men meet for the first time. A dad hears his daughter's donated heartbeat in the man whose life she saved. ❤❤❤ pic.twitter.com/tD73GkMWM8
— Kevin W (@kwilli1046) December 9, 2018
পরে বিল জানান যে, সশরীরে না থাকলেও, জ্যাকের মধ্যে যে ভাবে বেঁচে আছেন অ্যাবি, তা ওঁর কাছে যথেষ্ট গর্বের। অঙ্গদান নিয়ে এই সচেতনতা তিনি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy