প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
ভোটের আগে বড় ধাক্কা খেল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে ‘ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান’ (ইসিপি) যে পদক্ষেপ করেছিল, বুধবার পেশোয়ার হাই কোর্ট তা পুনর্বহাল করেছে।
গত অগস্টে ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় তিন বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পরেই ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর পর ইসলামাবাদ হাই কোর্ট সেই সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়ে ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলা চলায় তিনি মুক্তি পাননি। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ বজায় রাখতে পিটিআইয়ের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল পাক নির্বাচন কমিশন।
এর পর ডিসেম্বরের গোড়ায় পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইমরান ঘনিষ্ঠ নেতা গোহর আলি খান। পাশাপাশি পিটিআইয়ের সাংগঠনিক বৈঠকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে নির্বাচিত হন ওমর আয়ুব খান। ১৯৯৬ সালে পিটিআই তৈরির পরে এই প্রথম বার ইমরানের পরিবর্তে অন্য কাউকে নির্বাচিত করা হয় দলীয় চেয়ারম্যান হিসাবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানায়, পিটিআইয়ের সাংগঠনিক বিধি মেনে ইমরানের উত্তরসূরি নির্বাচন হয়নি। ফলে প্রতীক কেড়ে নেওয়া হবে। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশোয়ার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিটিআই নেতৃত্ব। ২৬ ডিসেম্বর কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও বুধবার তা প্রত্যাহার করেছে হাই কোর্ট।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ এবং প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন। রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলায় পাক সুপ্রিম কোর্ট ডিসেম্বরে জামিন দিলেও এখনও আদিয়ালা জেলেই বন্দি ইমরান। সেখান থেকেই তিনি লাহোরের এনএ–১২২ এবং মিয়াঁওয়ালির এনএ–৮৯ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পাক নির্বাচনের কমিশন গত ১ জানুয়ারি মনোনয়ন বাতিল করে জানায়, ইমরানের নাম ভোটার তালিকাতেই নেই! তাই তাঁর মনোনয়ন বৈধ নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy