বাংলাদেশ নিয়ে চিনের অবস্থানের প্রশংসায় খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে চিনের মনোভাব ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলেই মনে করছে তারা। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের চিন সফরে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে বিএনপির এই অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কবে নির্বাচন হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার চাইছে আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজন করতে। যদিও বিএনপি চাইছে আরও আগে নির্বাচন আয়োজিত হোক। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পাঁচ দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠক আওয়ামী লীগের আমলে আয়োজিত তিনটি নির্বাচনে চিনের ‘সমর্থনে’র প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফেরাতে চিনের কেমন মনোভাব দেখা গিয়েছে, তা নিয়ে সোমবার প্রশ্ন করা হয় বিএনপি নেতাদের। জবাবে খালেদার দলের মহাসচিব ফখরুল বলেন, “অত্যন্ত ইতিবাচক দেখেছি।” যদিও এ বিষয়ে তাঁর বিস্তারিত কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনে চিনা হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে অতীতে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। যদিও এমন কোনও সম্ভাবনার কথা আগেও নাকচ করে দিয়েছিল বেজিং। হাসিনার জমানায় ২০২৩ সালে এই নিয়ে বিতর্ক ছড়ালে চিন জানিয়েছিল, তারা অন্য কোনও দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও উল্লেখ করেছিল তারা।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি পাঁচ দিনের চিন সফরে বেজিংয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি হংসং এবং চিনা বিদেশ মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার সুং-ওয়ে-ডংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। বিএনপির প্রতিনিধিদল চিন সফরে কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অন্দরে। ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, অতীতে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে চিনের অবস্থানের কখাও সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে উঠে এসেছে।