Advertisement
E-Paper

প্রেমিকার মুখে বিলিয়ার্ড বল ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন, দেহ কেটে ডাস্টবিনে ফেললেন প্রেমিক!

অভিযুক্তদের বয়ান থেকে প্রাপ্ত তথ্যসূত্র ধরে কিশোরীর দেহাংশ খুঁজছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ১৭:০৫
Boyfriend and his partner arrested for strangling girlfriend to death by stuffing billiard ball in her mouth in Florida

প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রেমিক। ছবি: সংগৃহীত।

অনলাইনে আলাপ। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক! কিন্ত কয়েক দিনের সম্পর্কেই টানাপড়েন। ১৬ বছর বয়সি প্রেমিকার মুখে বিলিয়ার্ডের বল ঢুকিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিক এবং তাঁর সঙ্গিনীর বিরুদ্ধে। পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফ্লোরিডার বাসিন্দা মিরান্ডা করসেটের সঙ্গে ডেটিং অ্যাপে আলাপ হয় ৩৫ বছর বয়সি স্টিভেন গ্রেসের। আলাপের পর দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হয়ে ওঠে। গত ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে প্রথম বার দেখা করেন দু’জনে। মিরান্ডা থাকত তার দিদার সঙ্গে। ১৪ ফেব্রুয়ারি স্টিভেনের সঙ্গেই তাঁর বাড়িতে যায় মিরান্ডা। সারা দিন সেখানে কাটায়। ওই বাড়িতেই ছিলেন স্টিভেনের সঙ্গিনী মিশেল ব্র্যান্ডেসও। পরের দিন, অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরান্ডা তার দিদার বাড়ি ফিরে যায় ঠিকই, কিন্তু দিন দুয়েকের মধ্যেই আবার স্টিভেনের বাড়িতে চলে আসে। তার পর থেকে সেখানেই থাকতে শুরু করে সে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি, মিরান্ডার সঙ্গে স্টিভেন এবং মিশেলের অশান্তি শুরু হয়। তাঁরা ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে আংটি চুরির অভিযোগ তোলেন। তার পর থেকেই মিরান্ডাকে বাড়িতে আটকে রাখেন স্টিভেন। অভিযোগ, সেই সময় তার উপর নানা ভাবে অত্যাচার করা হয়। শেষে মিরান্ডার মুখে বিলিয়ার্ড বল ঢুকিয়ে বাইরে থেকে প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় মিরান্ডার।

তদন্তাকারীদের অনুমান, ২০ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনও এক দিন মিরান্ডাকে খুন করা হয়। তার পর তার দেহ অন্য একটি বাড়িতে নিয়ে যান স্টিভেন এবং মিশেল। সেখানেই মিরান্ডার দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন। পরে প্যাকেটে ভরে দেহাংশগুলি একটি ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসেন স্টিভেন।

২০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে নাতনির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তার দিদা। নানা জায়গায় খোঁজখবর শুরু করেন। অবশেষে না পেয়ে গত ৬ মার্চ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেন্ট পিটার্সবার্গের পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে। মিরান্ডার শেষ গতিবিধি খতিয়ে দেখেই খোঁজ পান স্টিভেনের বাড়ির । সেখান থেকেই তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গিনী মিশেলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন তাঁরা। কী ভাবে মিরান্ডাকে খুন করেছেন এবং তার পর কী ভাবে দেহ লোপাট করার চেষ্টা করেছেন, তা-ও পুলিশকে জানিয়েছেন স্টিভেনরা। সেই সূত্র ধরেই মিরান্ডার দেহাংশ খুঁজছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Murder Case Florida
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy