‘ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুকুস নেস্ট’— ছয় সন্তানকে নিয়ে ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’র সংসারের কথা বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে মিলোস ফরম্যানের এই ছবিটির কথাই টেনে এনেছিলেন ব্র্যাড পিট। মজা করেই বলেছিলেন, মানসিক প্রতিবন্ধীদের হাসপাতালকে নিয়ে তৈরি হওয়া ওই ছবির সঙ্গে তাঁর বাড়ির পরিবেশের দিব্যি মিল পান তিনি! বলেছিলেন, ‘‘আমাদের বাড়িতে ও ভাবেই সকাল হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি চলে সন্ধে পর্যন্ত। আর কখনও কখনও তার পরেও!’’ বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মজা করে বলেছিলেন, সন্তানদের সামলাতে ‘নিয়মিত মারধর করি’, ‘খেতেও দিই না মাঝেমাঝে’।
তখন কি তিনি জানতেন, কয়েক বছর পর এই ছেলেমেয়েদের প্রশ্নেই ইতি প়ড়বে ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলির রূপকথার দাম্পত্যে? জানতেন কি, বাবার প্রভাব থেকে ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে ব্র্যাডকে ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন জোলি?
মার্কিন একটি ওয়েবসাইটের দাবি, বাচ্চাদের বড় করার ক্ষেত্রে পিটের আচার-আচরণ দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জোলি। অতিরিক্ত মাদক সেবন ও মদ্যপানের জেরে পিট ঘনঘন রেগে যেতেন। জোলির বক্তব্য, সেই রাগের প্রভাব পড়ত ছেলেমেয়েদের উপরে। একটি পত্রিকার দাবি, জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ব্র্যাডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে লস অ্যাঞ্জেলেসের শিশু ও পরিবার বিভাগ। সেই প্রতিবেদনে ব্র্যাডের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘বিষয়টি ব্র্যাডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্র্যাড।’’ নাম না করেই জোলিকে এক হাত নিয়ে সেই বন্ধুর দাবি, ‘‘যে-ভাবে ব্র্যাডকে এর মধ্যে খলনায়ক করে তোলা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক।’’