Advertisement
E-Paper

বিমানে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হচ্ছে বিতাড়িতদের, জলও দিচ্ছে না আমেরিকা! অভিযোগ তুলল ব্রাজ়িল

আমেরিকা থেকে ব্রাজিলের ৮৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে সম্প্রতি সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছিল বিমানে। এমনকি জলও দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ব্রাজ়িলের সরকারও।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৫
২৩ জানুয়ারি আমেরিকার টেক্সাসে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে তোলা হচ্ছে ‘পরিযায়ী’দের।

২৩ জানুয়ারি আমেরিকার টেক্সাসে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে তোলা হচ্ছে ‘পরিযায়ী’দের। ছবি: রয়টার্স।

আমেরিকা থেকে বিতাড়িত অবৈধ অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে ব্রাজ়িল। বিতাড়িতদের বিমান জল পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। আমেরিকার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ব্রাজ়িলের প্রশাসন। দেশে ফেরত পাঠানোর সময় কেন এ ধরনের আচরণ করা হচ্ছে অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ব্রাজ়িলের বিদেশ মন্ত্রক। আমেরিকার থেকে এর ব্যাখ্যা চেয়ে সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে ব্রাজ়িলের বিদেশ মন্ত্রক।

বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, দেশে ফেরত পাঠানোর সময় অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে ‘ভীষণ ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত’ হয়েছে। সে দেশের বিচার মন্ত্রকও জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের হাত থেকে অবিলম্বে হাতকড়া খুলে দিতে হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শুক্রবার আমেরিকা থেকে বিতাড়িত ব্রাজ়িলিয়ানেরা হাতকড়া পরে ব্রাজ়িলে পৌঁছন। দেশে পৌঁছেই আমেরিকার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। বিমানটিতে ৮৮জন ব্রাজিলের নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া আমেরিকার নিরাপত্তা সংস্থার ১৬ জন আধিকারিক এবং আট জন বিমানকর্মী ছিলেন।

সংবাদ সংস্থা এএফপিকে ওই বিমানের এক যাত্রী বলেন, “বিমানে আমাদের জল দেওয়া হয়নি। আমাদের হাত-পা বেঁধে রাখা ছিল। এমনকি শৌচালয়েও যেতে দেওয়া হয়নি।” দেশে ফেরত পাঠানোর ওই বিমানে অবৈধ অভিবাসীরা প্রত্যেকে ভীত হয়ে ছিলেন বলেও জানান তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের সঙ্গে আচরণ নিয়ে এই বিতর্ক নিয়ে রয়টার্সের তরফে আমেরিকার অভিবাসন সংক্রান্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত উত্তর মেলেনি।

ক্ষমতায় এলে ট্রাম্প যে আমেরিকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন, সে আভাস নির্বাচনের আগে থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারেও এই বিষয়ের উপর জোর দেন তিনি। ২০ জানুয়ারি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই সে দেশের নতুন প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু করেছে। ইতিমধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর অভিপ্রায়ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

Donald Trump Illegal Immigrants US Brazil
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy