E-Paper

প্যালেস্টাইনের স্বীকৃতি চায় ব্রিটেনও

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যদি প্যালেস্টাইনিদের সুবিধার্থে কোনও পদক্ষেপ না করে ইজ়রায়েল, তা হলে সে মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসভায় প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণা করবে ব্রিটেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫ ০৭:০৭
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। —ফাইল চিত্র।

ফ্রান্সের পরে এ বার ব্রিটেন। প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের কিয়র স্টার্মার সরকার। এ দিন স্টার্মারের দফতরের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যদি প্যালেস্টাইনিদের সুবিধার্থে কোনও পদক্ষেপ না করে ইজ়রায়েল, তা হলে সে মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসভায় প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে ঘোষণা করবে তারা। ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য ক্ষুব্ধ ইজ়রায়েল। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক এক্স মাধ্যমে লিখেছে, প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ‘হামাসকে পুরস্কৃত করা’। এর প্রভাব যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরিকল্পনার উপরেও পড়বে, দাবি ইজ়রায়েলের।

এখনও পর্যন্ত ১৪০টি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিলে বা দিতে চাইলেও জি-৭ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কোনও দেশ প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করল। গত সপ্তাহে স্টার্মার এবং বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামির উদ্দেশ্যে চিঠি লেখেন ৯টি রাজনৈতিক দলের ২৫৫ জন এমপি। ওই চিঠিতে তাঁরা দাবি করেন, ব্রিটেন যেন প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দেয়। উল্লেখ্য, ইউরোপের একটা বড় অংশ গাজ়ায় গণহত্যার বিরোধিতা করে প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করেছে। এ ছাড়াও, সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ঘোষণা করেন, তাঁর দেশও স্বীকৃতি দিতে চায় প্যালেস্টাইনকে। নানা মহলের মতে, যদি ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী দেশগুলি এমন পদক্ষেপ করে, তা হলে আগামী দিনে অন্য বহু দেশ যেমন জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানের উপরেও কোনও একটি পক্ষকে বেছে নেওয়ার চাপ তৈরি হবে।

আমেরিকা কোন পক্ষ নিচ্ছে, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত নয়। স্টার্মারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ দিন স্কটল্যান্ড থেকে আমেরিকা ফিরছেন তিনি। বিমানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, কিয়রের সঙ্গে তাঁর নানা বিষয়ে আলোচনা হলেও এই বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি। স্টার্মার কোন পক্ষ নিচ্ছেন, তা নিয়ে কোনও আপত্তি না জানালেও ট্রাম্প বলেন, তিনি নিজে কোনও নির্দিষ্ট পক্ষ এখনই নেবেন না। বরং যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাবার পৌঁছয়, সে দিকেই তাঁর নজর রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গাজ়া পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এই প্রথম ট্রাম্প বলেন, প্যালেস্টাইনি ‘শিশুদের দেখে মনে হয়, তারা সকলে সত্যিই ক্ষুধার্থ’। সম্প্রতি ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, গাজ়ায় অনাহার, অপুষ্টিজনিত কোনও সমস্যা নেই। নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এই সব (অনাহার, অপুষ্টি)মিথ্যা নয়।’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Britain israel

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy