E-Paper

ব্রিটেনের প্রত্যর্পণ নীতি বদল

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৫৯
কিয়র স্টার্মার।

কিয়র স্টার্মার।

প্রত্যর্পণ নীতিতে বড়সড় বদল আনল ব্রিটিশ সরকার। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে কিয়র স্টার্মারের লেবার সরকার ‘আগে প্রত্যর্পণ, পরে আবেদন’ নীতি চালু করেছিল। যার অর্থ, ব্রিটেনে বসবাসকারী কোনও বিদেশি নাগরিক অপরাধ করে গ্রেফতার হলে তাঁকে আগে তাঁর নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। পরে অভিযোগকারী আবেদনের মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে করা সেই নির্দিষ্ট মামলা লড়তে পারবেন। এই তালিকায় আগে মাত্র ৮টি দেশ ছিল। গত কাল আরও ১৫টি নতুন দেশের নাম যোগ করা হয়েছে। এখন সেই তালিকা হয়েছে ২৩। যার মধ্যে নাম রয়েছে ভারত, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার।

স্টার্মারের সুরে সুর মিলিয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের আওতায় আরও ১৫টি দেশের নাম যোগ করা হয়েছে কারণ সরকার চাইছে, তাঁদের অভিবাসন নীতির যাতে অপব্যবহার না করা হয়। তবে শুধুমাত্র অবৈধ অভিবাসনই নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকে বৈধ অভিবাসনে রাশ টানতেও উদ্যোগী স্টার্মার সরকার। কুপারের বক্তব্য, পুরনো নীতি অনুযায়ী, অপরাধ করে শুধুমাত্র মামলা লড়ার জন্য মাসের পর মাস এমনকি কয়েক বছরও এই দেশে থাকার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছিলেন অভিবাসীরা। কুপারের কথায়, ‘‘এটা বন্ধ করা দরকার। এ দেশে এসে যারা অপরাধ করছে, তাদের এই দেশের নিয়মকানুনের অপব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। সকলকেই আমাদের দেশের আইনকে মেনে চলতে হবে।’’

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কারাগারগুলি নাকি এই মুহূর্তে প্রায় ১০০ শতাংশ ভর্তি। জুনের পরিসংখ্যান বলছে, কারাগারগুলিতে অন্তত ১০,৭৭২ জন বিদেশি অপরাধী রয়েছে, যা ব্রিটেনের মোট অপরাধীদের ১২ শতাংশ। ভারতীয় বন্দির সংখ্যা আপাতত ৩২০। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নতুন তালিকায় এখনও পর্যান্ত নেই পাকিস্তানের নাম। তবে ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ২৩ থেকে সংখ্যাটা আরও অনেক বাড়বেএবং তার জন্য তাঁরা কূটনীতির রাস্তাতেই হাঁটছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Keir Starmer Extradition

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy