ছবি এএফপি।
চিন সরকার ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, বারবার এই অভিযোগ তুলছে আমেরিকা। আগামী বছর বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক্সে আমেরিকা যোগ না-ও দিতে পারে, সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বার আমেরিকার পথ অনুসরণ করে একই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ব্রিটেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে বেজিংয়ে ৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা শীতকালীন অলিম্পিক্সে যোগ না দেওয়ার কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে বরিস জনসনের প্রশাসন। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী লিজ় ট্রাসও বয়কটের পক্ষে সওয়াল করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কূটনৈতিক বৈঠকের অর্থ, দেশের ক্রীড়াবিদেরা অলিম্পিক্সে যোগদান করলেও দেশের প্রশাসনিক কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন না অনুষ্ঠানে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে, অলিম্পিক্সে ব্রিটেনের কোনও মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন না। এক মাত্র চিনে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত যিনি, তিনিই থাকতে পারেন। দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের মধ্যে অন্তত পাঁচ জন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে ব্রিটেনের তরফে কোনও ধরনের প্রতিনিধিই না পাঠানো হয়। মূলত চিনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সে দেশের উপর চাপ বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy