Advertisement
E-Paper

জয়শঙ্করের দৌত্যে ‘সাফল্য’ দেখছে কেন্দ্র

শেষ পর্বে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর সঙ্গে বৈঠকে আপাত ভাবে হলেও স্পষ্ট হয়েছে মৈত্রীর সুর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৫:৪১
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কথায় বলে সব ভাল যার শেষ ভাল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সপ্তাহব্যাপী আমেরিকা সফরের পর এমনটাই বিশ্বাস করতে চাইছে সাউথ ব্লক।

গত সোমবার থেকে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিষেধক-দৌত্য করে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। শেষ পর্বে আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর সঙ্গে বৈঠকে আপাত ভাবে হলেও স্পষ্ট হয়েছে মৈত্রীর সুর। জয়শঙ্করের পাখির চোখ ছিল মূলত দু’টি। এক, আমেরিকা থেকে তাদের উদ্বৃত্ত প্রতিষেধকের বেশিটাই ভারতের জন্য নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত টিকা তৈরির জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামালের সরবরাহ (আমেরিকা থেকে) যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করা। সপ্তাহ শেষে বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, এই দুই ক্ষেত্রেই বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে।

বৈঠকের আগে ভারত এবং আমেরিকার দুই মন্ত্রী যে ভাবে একে অন্যের পাশে থাকার জন্য পরস্পরকে ধন্যবাদ দিলেন, তাতে দু’দেশের মৈত্রীর ছবিই ফুটে উঠেছে। ব্লিঙ্কেনের বক্তব্য, কোভিড যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে ভারত আমেরিকার পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেটা আমেরিকা কখনও ভুলবে না। অন্য দিকে বাইডেনের আমলে ভারতীয় মন্ত্রিসভা থেকে প্রথম সে দেশে সফরে যাওয়া জয়শঙ্করও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, এই কঠিন সময়ে আমেরিকা পাশে রয়েছে ভারতের।

কোভিড যুদ্ধে ভবিষ্যতেও যে ওয়াশিংটন ভারতের পাশে থাকবে, সেই বার্তা দিয়েছেন খোদ ব্লিঙ্কেনও। এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যাতে ভারতের পাশে থাকতে পারি।’’ অন্য দিকে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে আমাদের। আমি মনে করি, যত দিন গিয়েছে, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক ততই মজবুত হয়েছে। এবং আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে তা আরও পোক্ত হবে। এই কঠিন সময়ে তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে আমি আমেরিকার প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’’

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, কোভিড মোকাবিলার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পারস্পরিক সহযোগিতা, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা, চিনের বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক একাধিপত্য খর্ব করার কৌশল নিয়েও। বৈঠকের পর আমেরিকার বিদেশসচিবের বক্তব্য, ‘‘খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হল। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, আমেরিকার কোভিড ত্রাণ সংক্রান্ত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি এবং আফগানিস্তান নিয়ে কথা হয়েছে। পরস্পর বন্ধু দেশ হিসাবে আমরা আমাদের যৌথ স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।’’

Central Government S jaishankar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy