যুবরাজ চার্লসকেই পরবর্তী প্রধান হিসেবে বেছে নিলেন কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। আজ উইনসরে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন (চোগাম)-এর এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কালই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সূচনা-বক্তৃতায় বলেন, ‘‘১৯৪৯ সালে বাবার হাত ধরে কমনওয়েলথের পত্তন হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম ১৯৫৩ সালে। আশা করি, যুবরাজ চার্লস এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’’ কমনওয়েলথ প্রধানের পদটি বংশানুক্রমিক নয়। ফলে রানির অপ্রত্যাশিত এই মন্তব্যে কালই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কালই চার্লসকে পরবর্তী প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেন। আজ বৈঠকের পরে দেখা যায়, রানিকে হতাশ করেননি বাকি রাষ্ট্রপ্রধানেরাও।
কমনওয়েলথের পরবর্তী প্রধান কে হবেন, তাই নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সবাই শ্রদ্ধা করলেও উত্তরাধিকার সূত্রে এই দায়িত্ব যুবরাজ চার্লসকে দিতে রাজি ছিলেন না অনেকেই। তাঁদের সুপারিশ ছিল, দু’বছর অন্তর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কমনওয়েলথ প্রধান নির্বাচিত করা হোক। অনেকে আবার খোলাখুলিই ভারতকে বেশি দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলতে শুরু করেছিলেন। তাঁদের মতে, কমনওয়েলথের বহুজাতিকতা বজায় রাখতে কমনওয়েলথের সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক দিল্লিতে। আজকের সিদ্ধান্তের পরে তাঁরা দাবি করছেন, কমনওয়েলথের উপরে ব্রিটিশ রাজপরিবারের একচেটিয়া আধিপত্য ফের প্রমাণিত হয়ে গেল।