Advertisement
E-Paper

এটা কি ইউরোপ! অনাথ শিশুদের ছবি দেখে শিহরন

সরু লিকলিকে হাত-পা, উপরে পাতলা চামড়ার আস্তরণ। বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছে ছোট্ট ফ্যাকাসে শরীরগুলো। সিরিয়া বা পশ্চিম এশিয়ার কোনও শরণার্থী শিবির নয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫৭
মর্মান্তিক: অনাহারে অপুষ্ট। মিন্‌স্কের এক অনাথ আশ্রমে।

মর্মান্তিক: অনাহারে অপুষ্ট। মিন্‌স্কের এক অনাথ আশ্রমে।

সরু লিকলিকে হাত-পা, উপরে পাতলা চামড়ার আস্তরণ। বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছে ছোট্ট ফ্যাকাসে শরীরগুলো।

সিরিয়া বা পশ্চিম এশিয়ার কোনও শরণার্থী শিবির নয়। এই ছবি পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুসের বিভিন্ন অনাথ আশ্রমে়। অনলাইনে সেই সব ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। বেলারুসের নানা অনাথ আশ্রম থেকে শ’খানেক বাচ্চার হদিস মিলেছে। দেখেই বোঝা যায়, বছরের পর বছর অনাহারে আছে তারা। বেশির ভাগ অপুষ্ট বাচ্চার ওজন ১৫ কেজির বেশি নয়। কুড়ি বছরের এক তরুণীর ওজন সাড়ে এগারো কেজি!

ঘটনাটি সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তড়িঘড়ি তদন্তও শুরু হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু হোমের অধিকর্তাকেও।

কী ভাবে জানা গেল এই ভয়ঙ্কর কাহিনি? সম্প্রতি বেলারুসের রাজধানী মিন্‌স্কে এক অনাথআশ্রমের জন্য টাকা তুলতে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ডাকা হয়েছিল সাংবাদিকদেরও। তখনই সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় অনাথ আশ্রমের হাল ধরা পড়ে। সেই ছবি প্রকাশিত হয় একটি অনলাইন পত্রিকায়। তার পরেই হইচই পড়ে যায় গোটা ইউরোপে।

অনেকেই বলছেন, এই শিশুদের অবস্থা দেখে নাৎসি শিবিরে ইহুদি বাচ্চাদের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে! আফ্রিকা বা এশিয়া নয়, একুশ শতকে ইউরোপেও এমন ঘটনা ঘটছে জানতে পেরে হতবাক অনেকেই।

কী ভাবে বাচ্চাগুলোর এই অবস্থা হলো, বা এতটা অপুষ্ট অবস্থায় কী ভাবে বেঁচে রয়েছে তারা— এই সব প্রশ্নের উত্তর কেউই ঠিকমতো দিতে পারছে না। অনেক অনাথ আশ্রমের দাবি, অত্যন্ত অপুষ্ট অবস্থাতেই তাদের কাছে আসে এই সব শিশু। তাদের জন্য বিশেষ ক্যালোরিযুক্ত খাবার কেনা দরকার। কিন্তু অত টাকা বেশির ভাগ হোমেরই নেই। অনেক হোম আবার শিশুদের অপুষ্টির জন্য তাদের মানসিক অবস্থাকেই দায়ী করেছে। বেশির ভাগ শিশুই মানসিক ভারসাম্যহীন। অনাথ আশ্রমগুলোর দাবি, যথেষ্ট খাবার দেওয়া হলেও তাদের ‘অপরিণত’ মস্তিষ্ক সেই খাবারের প্রয়োজনীয়তা বোঝে না।

এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকের রোমানিয়ার নানা অনাথ আশ্রমে অবহেলা, নির্যাতন ও অপুষ্টির ভয়াবহ স্মৃতি। চিকিৎসকরা বলছেন, অনাথ শিশুদের সমাজ এখনও যে কতটা অবহেলার চোখে দেখে, তা বলে দিচ্ছে মিন্‌স্কের শিশুরাই।

Belarus Orphanage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy